September 14, 2024, 12:00 pm
বিদেশের খবর: ট্রলারডুবির পর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ভারতের এক জেলেকে উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি জাহাজের নাবিকরা। বঙ্গোপসাগরের ভারত সীমানায় ট্রলারডুবির পর ওই জেলে ভাসতে ভাসতে সাগরের বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে পড়েন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে এমভি জাওয়াদের কুতুবদিয়া অবস্থান করার সময় জাহাজের টিম সদস্যরা একটি লোককে সাগরে ভেসে থাকতে দেখে জাহাজের মাস্টারকে জানান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ নেভি এবং পোর্টকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি জানান। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে নেভি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা দ্রুত আসতে পারবে না বলে জানায়।এ অবস্থায় এমভি জাওয়াদের নাবিকরাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেন। মাস্টার তাঁর টিমকে খুব দ্রুত লাইফ জ্যাকেট, বয়া সাগরে নিক্ষেপ করতে বলেন এবং ভেসে থাকা লোকটিকে চেষ্টার পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয় টিম। এরপর তাঁকে জাহাজে তোলেন। এ সময় লোকটিকে মুমূর্ষু ও আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। মাস্টার ও তাঁর উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিকে জাহাজে থাকা চিকিৎসক দিয়ে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর তাঁকে পুষ্টিকর খাবার ও প্রয়োজনীয় পোশাক দেন জাওয়াদের নাবিকরা।পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে উদ্ধার হওয়া লোকটি জানান, তিনি জন্মসূত্রে একজন ভারতীয় নাগরিক। পেশায় জেলে। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ দাস (কানু দাস), বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। ভারতের গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভারত সাগরের উপকূলে এক সপ্তাহ আগে তাঁর মাছ ধরার ট্রলারটি ১০ জন সঙ্গীসহ সাগরে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার এক সপ্তাহ ধরে তিনি সাগরেই ভাসছিলেন এবং ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সীমানা কুতুবদিয়া অংশে ঢুকে পড়েন।কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, এমভি জাওয়াদ আমদানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আসছিল। কুতুবদিয়া এলাকায় সাগরে একটি কাঠ ধরে একজনকে ভাসতে দেখে জাহাজের নাবিকরা বিষয়টি মাস্টারকে জানান। মাস্টার তখন কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বার্তা পাঠান। পাশাপাশি ভাসমান লোকটিকে উদ্ধারে লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বয়া সাগরে ছুড়ে দেন নাবিকরা।করিম আরো বলেন, ভাসমান লোকটি জ্যাকেট ধরতে পারলেও বয়াটি ধরতে ব্যর্থ হন। কিন্তু উদ্ধারের আগেই তিনি অদৃশ্য হয়ে যান। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে জাহাজ সাগরে অবস্থানের পর আবারও তার দেখা মেলে। এরপর আবারও লাইফ বয়া ছুড়ে মারা হয়। তখন তিনি সেটি ধরতে সক্ষম হন। এরপর নাবিকরা তাকে জাহাজে তুলে নেন।
Comments are closed.