November 21, 2024, 9:11 am
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় আজ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ভাষণে করোনাকালের বিপর্যয় মোকাবিলা, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ছাড়া অন্যান্য প্রসঙ্গও তুলে ধরবেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম বাংলা ভাষণকে অনুসরণ করেই বাংলা ভাষাতে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এটি হবে তার ১৮তম ভাষণ। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার জাতিসংঘে ভাষণ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাওয়ার পর থেকে তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের সভাপতি আয়োজিত নারী নেতৃত্ব বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং সেই সঙ্গে জানান, কভিড-১৯ এই প্রচেষ্টায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত হোয়াইট হাউসের কভিড -১৯ বিষয়ক এক ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি বাইডেনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এই মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের তৎপরতার বিষয়টি তুলে ধরেন। একই দিন শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সব অধিবেশনে ও বৈঠকে এই সংকট নিরসনের জন্য তিনি টেকসই সমাধানের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এর আগে মঙ্গলবার কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল হামাদ আল সাবাহ এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লভফেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন।
তা ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যারা প্রাণ ত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা তাদের স্মরণে জাতিসংঘ পিচ মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে একটি বাগানে বৃক্ষ রোপণ করেন এবং একটি বেঞ্চ বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করেন।
এর আগে সোমবার জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করে। জাতিসংঘ অধিবেশন এবং নিউইয়র্কে অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর ২৫–৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং হেলসেঙ্কিতে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
Comments are closed.