January 15, 2025, 2:02 pm
আব্দুর রহমান: জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চরবালিথা এলাকায় শাসসুল গাজীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলামকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রাণী করে আসছে দহকুলা গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে মো. মিন্টু হোসেন। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলামের মাতা ছাবেরা বেগমের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ১০ শতক ইজারাকৃত সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিল। উক্ত জমিতে শকুনি নজর পড়েছে মিন্টু হোসেনের। মিন্টু হোসেন এই জমিটি জোর জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১৮ মে বিকাল ৪ টায় শহিদুল ইসলামের বসত বাড়িতে মিন্টু হোসেনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। এসময় শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঘরের বাইরে আসলে মিন্টু হোসেন বলেন, জায়গা ছেড়ে তোরা এখনও যাসনে কেন? আমার বিরুদ্ধে নাকি থানায় ডিজি করেছিস। থানা পুলিশ আমার কি করবে? এভাবে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও হুমকী ধামকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের মাথায় আঘাত করে এবং শহিদুল ইসলাম ঠেকাতে গেলে তার বুকের পাঁজরে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। তাৎক্ষনিক ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই লিটন দাশ সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত শুনে চলে আসেন। পরবর্তীতে মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জজকোর্টে মামলা করা হয়। মামলা নং- সিআর ৪৩৭/২১(সাত:)। মামলায় আসামী হলেন, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে মো. মিন্টু হোসেন, মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে ইকরামুল হক (ছোট বাবু), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ময়না মেম্বার। আদালতে মামলা হওয়ার পর শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারকে নানানভাবে হুমকি-ধামকি এবং ক্ষয়-ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিন্টু হোসেন। মিন্টু হোসেন সাতক্ষীরা সদর থানার চিহ্নিত দালাল। এই প্রভাব খাঁটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে হয়রানী ও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতে মামলা করে আদ্যবধি এই পরিবারটি কোন ধরনের আইনী সহায়তা পাইনি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় পরিবারটি।
Comments are closed.