February 5, 2025, 7:01 pm
Hasan Imam: আবারো ভারতীয় ফেনসিডিলে সয়লাব হয়ে গেছে সাতক্ষীরার প্রত্যান্ত অঞ্চাল। জেলার শহর, গ্রামে অতিগোপনে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় ফেনসিডিল আর সবচেয়ে বেশি আসক্ত যুবসমাজ। সাতক্ষীরার ২৩৮ কিঃমিঃ ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের বিভিন্ন চোরা পথদিয়ে ভারত থেকে বানের ¯্রােতের মতো আসছে ফেনসিডিল,মদ গাজাসহ সব ধরনের মাদক। জেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে শত শত শক্তিশালী মাদক চোরাচালান চক্র।নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য ভারতের সীমান্ত এলাকায় অবৈধ্য ভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফেনসিডিল কারখানা। কারখানা গুলোতে রাত-দিন চলছে ফেনসিডিল তৈরির কাজ। আর সীমান্ত পেরিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য কৌশলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরহ করছে মাদক চোরাচালান চক্র গুলো। সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির কড়া নজরদারি থাকার পরেও ভারত থেকে মাদকের বড় বড় চালান আসছে চোরাগুপ্তা ভাবে।চোরাচালানির সদরঘাট বলে পরিচিত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের অলিতে-গলিতে প্রকাশ্য বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল,গাজা,মদসহ সর্ব প্রকার মাদক। প্রতিদিন সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নেশাগ্রস্তদের সমাগম করতে দেখাযায় ভোমরা পোর্ট সংলগ্ন লক্ষীদাড়ি,ঘোষপাড়া,গাজিপুর এলাকায়। ভোমরায় ফেনসিডিলের দাম ৬০০ টাকা আর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পঞ্চাশ গজ ভেতরে দাম ৪০০ টাকা। ভারতে দাম কম থাকায় বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে মধ্যে যেয়ে মাদক সেবন করে আসছে মাদকাসক্তরা।নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র আরো জানিয়েছে ভোমরা সীমান্তের ওপারে ভারত সীমান্তের ভেতরে বসছে মাদকের বাজার। সেখানে দুশরও বেশি মাদক ব্যবসায়ী প্রতিদিন বস্তা বস্তা ফেনসিডিল,মদ,গাজা বিক্রি করে আসছে বাধাহীন ভাবে। ভোমরা বন্দরের আসে পাশের চোরা পথের পাশাপাসি মাদক আসছে বৈধ্য ভাবে আমদানি কৃত পর্ণের আড়ালে। মাঝে মধ্যে বিজিবি ও শুল্ক গোয়েন্দা এর দুএকটি চালান আটক করলেও বেশিভাগ মাদকের চালান পৌছে যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে।এছাড়া বস্তাবস্তা ফেনসিডিলসহ সব ধরণের মাদক আসছে শাঁখরা, পদ্ম শাঁখরা, ঘুনা, বৈকারি, কুশখালি, তলুইগাছা, কেড়াগাছি, ভাদলি, ভবানিপুর, বাঁশদাহ, কাকডাঙ্গা,হিজলদী,বসন্তপুর সীমান্তদিয়ে। এসব এলাকার চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্যরা আতœগোপনে থেকে পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনেকের সাথে সম্পর্ক রেখেই চুপিসারে ব্যবসা করে আসছে। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে সারাজেলা বিৃস্তুত মাদক সিন্ডিকেটের মূল লগ্নিকারী মাদক বস্তুুকে ধরেনা ছোইনা। তারা কেবল মধ্যস্থাকারী লোকের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে। তাই তারা বরাবরই ধরাছোয়ার বাইরে থাকে। তারাই পুলিশ,প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক প্রভাবশালীদেও ম্যানেজ করে মাদকের কালো টাকার বিনিময়ে।সাতক্ষীরায় মাদকের এই অবৈধ্য কারবার সরকারি প্রশাসন,আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থা সমুহের চোখের সামনে হয়ে আসছে। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অবৈধ্য মাদকদ্রব্যের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আশানুরুপ সাফল্যই দেখাতে পারিনি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ ও র্যবের ব্যাপক অভিযান পরিচালিত হওয়ার পরেও মাদক নিয়ন্ত্রন হয়নি এই জেলায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলো অব্যাহত অভিযান,আটক, মোবাইল কোটে সাজা প্রদান, একের পর এক মামলা করেও রোধ করাযাচ্ছেনা সর্বনাশা মাদকের বিস্তার।
Comments are closed.