November 21, 2024, 8:59 am
ইসরায়েলে দুই শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। নিজেদের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার লেবাননের টাইরে শহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় হিজবুল্লার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ নাসের নিহত হন। এর আগে গত জুনে ইসরায়েলি হামলায় আরেক সিনিয়র কমান্ডার নিহত হন। এ ঘটনার পর ওই সময়ে গত ৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন ও রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার জবাবে তারা দেশটিতে ২০০-এর বেশি বিভিন্ন ধরনের রকেট হামলা চালিয়েছে। গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের ৫টি ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ আরও জানিয়েছে, জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে তারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৮টি অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গোলান মালভূমিসহ সীমান্তবর্তী এলাকার ইসরায়েলি ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃস্পতিবার লেবাননের সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি ভূখণ্ড ও গোলান মালভূমি এলাকায় রকেট এবং বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে। সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় ৯০ মিনিটির মধ্যে অন্তত ১৭ বার সাইরেন বাজতে শোনা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে দিনের পর দিন ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি ২০০৬ সালের ইসরায়েল হিজবুল্লাহ যুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমনকি বিভিন্ন দেশ পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ৯ মাসে দুই দেশের মধ্যকার হামলা পাল্টা হামলায় হিজবুল্লাহর ৩০০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৮৭ জন বেসামরিক লোক। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ১৮ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
Comments are closed.