December 22, 2024, 6:33 am
মি. রাজু স্টাফ রিপোর্টাসঃ
সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে মালিক সমিতির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা চেষ্টা চাঁদাবাজীসহ দ্রুত বিচার আইনে আরো একটি মামলা হয়েছে। আজ সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ অঞ্চলে শ্রমিক নেতা জাহিদুল বাসার বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার আসামী করা হয়েছে, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির স্বাক্ষরে গঠনকৃত বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদসহ ১১ জনকে।
এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সাবেক পিপি এড. ওসমান গনি জানান, আজ বুধবার সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানুজ জামান বাদীর জবানবন্দি শোনার পর অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে আদেশ দিয়েছেন। এসময় বাদী পক্ষে এড. আসাদুজ্জামান দিলু, এড. বদিউজ্জামান, এড. সাহিদুজ্জামান প্রমুখ শুণানীতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ২০১৯ শহরের লেকভিউতে এক সাধারণ সভায় সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্বাচনী তপশীল ঘোষণা করা হয়। এর একদিনপর সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির স্বাক্ষরে কোন রকম সভা ও নির্বাচন ছাড়াই ১৬ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ঐদিনই সাইফুল করিম সাবু ও গোলাম মোরশেদের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত কমিটি সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে অবস্থিত মালিক সমিতি দখল করে নেয়। এরপর থেকে মালিক সমিতির বিতাড়িত গ্রুপ ও দখলদার গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। দখলদার গ্রুপ মালিকদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের প্রতিপক্ষ বিভিন্ন মালিকদের বাসচলাচল বন্ধ করে দেন।
এনিয়ে গত ১৫ অক্টোবর টার্মিনালে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর জেলা প্রশাসন সমিতির সকল রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে। ইতোমধ্যে ৩ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
এদিকে ১৫ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ অঞ্চলে আধ্যাপক আবু আহমেদকে ১নং আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ঐ মামলাটিও এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে আদেশ দিয়েছিলেন।
Comments are closed.