তোফায়েল আহম্মেদ তুহিন নামের এক যুবককে বোমা মেরে হত্যার দায়ে সাতক্ষীরার কলারোয়ার মোফাজ্জেল হোসেন মোফাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী মোফাজ্জেল হোসেন মোফা একই উপজেলার পূর্বকোটা গ্রামের হোসেন আলী গাজীর ছেলে ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার কেসমত ইলিশপুর গ্রামের খয়বর হোসেন মন্ডলের ছেলে তোফায়েল আহম্মেদ তুহিন (২৮) একই এলাকার বাহাউদ্দীনের সাথে মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করতেন। কিছুদিন পর তাদের ব্যবসায় লোকসান দেখা দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। আর এই ব্যবসায়িক দ্বন্দের জের ধরে বাহাউদ্দীন তার পার্টনার তুহিনকে মারার জন্য মোফাজ্জেল হোসেন মোফাসহ ৮/১০ জনকে ভাড়া করে। এক পর্যায়ে ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারী রাত ১১ টার দিকে তুহিনের বাড়ির পাশে মসজিদের ধারে তাকে একা পেয়ে মোফাসহ তার সঙ্গীরা বোমা মেরে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন নিহত তুহিনের চাচা মোশারফ হোসেন গাজী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় বাহাউদ্দীন, ঘাতক মোফাজ্জেল হোসেন মোফাসহ ১০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সোমবার ৯ জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ মামলায় বোমা মেরে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আসামী মোফাজ্জেল হোসেন মোফা বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। এছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তবে, এ মামলার অপর ৯ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত পিপি শেখ আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায় প্রদানের সময় বোমা মেরে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আসামী মোফাজ্জেল হোসেন মোফা পলাতক ছিলেন।