November 21, 2024, 7:18 am
কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুরে নৌকা প্রতিকে আপন চাচাসহ তিন মৃত ব্যাক্তির ভোট দিতে এসে তিন যুবকের প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ অর্থ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের দিন দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার ২৫নং ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে এই জাল ভোট প্রদানকালে সেখানে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ধরা পরেন। পরে নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি সুরক্ষায় নিয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত তিন যুবকের স্বাক্ষ্যগ্রহণকালে তাদের স্বীকারোক্তিতে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন কুষ্টিয়া দৌলতপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন- ২০২৪ কুষ্টিয়া-১ এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শাহিন রেজা ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রাবণী দাস।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লাহ জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের বাসিন্দা লিটন আলীর ছেলে লিখন হোসেন (১৮), একই গ্রামের বাসিন্দা ভোলা প্রামাণিকের ছেলে জীবন হোসেন (১৯) এবং উপজেলার পুরাতন আমদাহ গ্রামের বাসিন্দা ছামের আলীর ছেলে অনিক ইসলাম (১৯)। অনিক গত দেড় বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করা তার নিজ চাচা ইয়ারুলের নাম ধারণ করে ভোট দেয়ার চেষ্টা করে। কুষ্টিয়া আদলত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা ১৯৭২ সালের গণপতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ৭৩/২খ ধারায় অপরাধ করায় প্রত্যেকের পৃথক ভাবে দুই বছরের জেল এবং লিখন ও জীবনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা এবং অনিক ইসলামের ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১মাসের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষনার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed.