November 21, 2024, 10:25 am
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে করা পরিবারের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে মতামত চূড়ান্ত করে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। বুধবার দেশ রূপান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পরে আবেদনটি আমার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য মতামতসহ আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাবে।’ কী মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী সে বিষয়ে খোলাসা করে সাংবাদিকদের কিছু বলেননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আবেদনটি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবে ততক্ষণ কী মতামত দেওয়া হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়।’
আগস্টের শেষ দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মুক্তি পেলে খালেদা জিয়া পালিয়ে যাবেন না।’ ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে সরকারের নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ৬ মাসের মেয়াদ। এ অবস্থায় তার মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে চতুর্থ দফা আবেদন করেছে তার পরিবার। আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানি যাওয়ার আগেই আবেদন পত্রটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। তিনি দেশে আসার পর খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়টি গতি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে তৃতীয় দফা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করলেন।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে গত ২৭ এপ্রিল রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। কদিন পরই তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে সরকারের কাছে আবেদন করে তার পরিবার। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফোনও করেছিলেন বলে খবর প্রকাশ হয়।
Comments are closed.