December 27, 2024, 12:38 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
গান গেয়ে ভাইরাল আশাশুনির সুতপা

গান গেয়ে ভাইরাল আশাশুনির সুতপা

আশাশুনি প্রতিনিধিঃএখন চলছে স্যোশাল মিডিয়ার যুগ।এখন অধিকাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসুবক ও ইউটিউবের দিকে ঝুকছে।সম্প্রতি ভারতের রানা ঘাটের রাণু মন্ডল স্যোসাল মিডিয়ার কল্যাণে সারা বিশ্বে পরিচিত হয়ে।রানু মণ্ডলের প্রশংসায় ব্যস্ত তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল আশাশুনির কদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক খুদে প্রতিভার গান।শুক্রবার সাতক্ষীরা দর্পণ নামে একটি ফেসবুকে পেজে একটি ভিডিও পোস্ট হয়। যেখানে দেখা গেছে, কোনো এক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কাগজে লিরিক লিখে নিয়ে দাঁড়িয়ে গান গাইছে এক কিশোরী।

উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী লতা মুঙ্গেশকারের কালজয়ী ‘যারে যারে উড়ে যারে পাখি ফুরালো প্রাণের মেলা শেষ হয়ে এলো বেলা আর কেন মিছে তোরে বেঁধে রাখি’ গানটি হৃদয় দিয়ে গাইছে সে। এতটুকুও ভুল নেই সুরে। যেখানে যেভাবে সুর ঢেলে দিতে হবে ঠিক সেভাবেই গাইছে ওই স্কুলছাত্রী।ভিডিওটি পোস্টের পর ওই শিক্ষার্থীর প্রশংসায় মেতেছে নেট দুনিয়া। হু হু করে ভাইরাল হচ্ছে তার গান। তার গানে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই তাকে বাংলাদেশের সঙ্গীতভূবনের এক নতুন আবিস্কার বলে মন্তব্য করেছেন।
জানা গেছে, ভিডিওর ওই খুদে শিল্পীর নাম সুপতা মণ্ডল। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোদন্ডা গ্রামের বাসিন্দা সে। তার বাবার নাম মৃন্যাল মণ্ডল ও মায়ের নাম সুমনা মণ্ডল।কোদণ্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী সুতপা। বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে টিফিন পিরিয়ডে শিক্ষকদের নির্দেশেই গানটি গায় সুতপা।

আর সে গান রেকর্ড করে রঞ্জন সরকার নামে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ফেসবুকে আপলোড করেন।এর পরই তা ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়।জানা গেছে, সুতপার বাবা মীরলাল মৃন্যাল মণ্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ঘোনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক।মেয়ের এই প্রতিভার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের গলায় সুর ঢেলে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি বেশ আগ্রহী সুতপা। তখন সবেমাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছে সে। একদিন মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরে দেখি মোবাইল ফোনে গান শুনে ঠিক সেভাবেই গাইছে সে। গানে যে তার বেশ দখল রয়েছে তা বুঝতে আর বাকি থাকেনি আমার। গানের গলা ভালো দেখে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় তাকে হারমোনিয়াম কিনে দিই। সেটা দিয়েই গানে হাতেখড়ি হয় সুতপার।’পরে স্থানীয় শিক্ষক মান্নান স্যারের কাছে গিয়ে সঙ্গীত শাস্ত্রের স্বরলীপি রাগ শেখে সুতপা।সুতপাকে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিল্পী হিসেবে তৈরি করতে চান মৃন্যাল মণ্ডল।কোদণ্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তুষার ইমরান বলেন, ‘শিশু শ্রেণি থেকেই ভালো গান করত সুতপা। প্রথম দিকে স্কুলে গান গেয়ে সবাইকে অবাক করে দেয় সে। পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাকে দিয়েই স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়াতাম আমরা। দিন দিন আরও পরিণত হয়ে উঠছে সুতপার গলা।’জানা গেছে, শুধু বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানেই নয় স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও গান গেয়েছে প্রশংসা কুড়িয়েছে সুতপা।কথা হয় সুতপা মণ্ডলের সঙ্গে। বড় শিল্পী হতে চায় সে বলে জানায় সে।সুতপা আরও জানায়, মোবাইল ফোনে শুনে শুনেই মূলত তার গান শেখা। তার প্রিয় শিল্পী লতা মুঙ্গেশকার, আশা ভোসলে, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনদের মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা। তাদের গান গেয়েই দিন কাটে সুতপার। বাংলাদেশের সঙ্গীতভূবনে অবদান রাখতে চায় সুতপা


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com