December 26, 2024, 10:17 am
ক্যাসিনোকাণ্ডে আটকের আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে এক জামায়াত নেতার বাড়িতে ছিলেন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। সেখান থেকেই তাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই বাড়িটি ছিল জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর। এখানেই আত্মগোপনে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক ওরফে আরমান।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রামে বাড়ি হলেও মনির চৌধুরী ফেনীতে থাকেন। গত একসপ্তাহ ধরে ফেনী থেকে প্রায়-ই ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করছিলেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর দোতলাবাড়ি। ছবি: বাংলানিউজতারা বলছেন, মনির তার বাড়িতে আসা-যাওয়া কম করতেন। সম্প্রতি হঠাৎ করে তার আনাগোনা বেড়ে যায়। এমনকি দোতলা ওই বাড়িটির মূলফটকও বন্ধ থাকে। এরপরও পেছনের দরজা দিয়ে ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন তিনি।এর মাঝেই শনিবার (০৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ৯টার দিকে র্যাবের কয়েকটি গাড়ি মনির চৌধুরীর বাড়ি ঘিরে ফেলে। পরে রাত ১১টার দিকে মনির চৌধুরীর দোতলার বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ক্যাসিনো সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান আলীকে বের করে নিয়ে আসেন র্যাব-৩ এর সদস্যরা। পরে দিনগত রাত সোয়া একটার দিকে তাদের নিয়ে ওই বাড়ি ত্যাগ করে র্যাবের গাড়ি।শনিবার সন্ধ্যায়ও মনির চৌধুরী একবার তার ওই বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একাধিক সূত্র। মনির চৌধুরীর ভাতিজি সামিয়া জান্নাত বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমি শ্বশুরবাড়ি থেকে এই বাড়িতে বেড়াতে এসেছি।জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর দোতলাবাড়ি। ছবি: বাংলানিউজ‘সম্রাট ও আরমান এই বাড়ি থাকতেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে সম্প্রতি মনির চাচা প্রায়-ই আসা যাওয়া করতেন বাড়িতে। গতকাল সন্ধ্যায়ও তাকে দেখা গেছে।’তিনি বলেন, রাতে হঠাৎ এই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এরপরই বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।মনির চৌধুরীর প্রতিবেশী মো. জামাল ও মো. মারুফ বলেন, মনির চৌধুরী ফেনীতে ব্যবসা করেন। সেইখানেই তিনি থাকতেন। এই বাড়িতে তার বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ-ই থাকতেন না। কিন্তু তিনি ইদানীং বেশি আসা-যাওয়া করতেন তিনি।আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, মনির চৌধুরী এক সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি।
Comments are closed.