November 21, 2024, 8:40 am
ডাকসেবাকে ভবিষ্যৎ চাহিদার আলোকেই ব্যাপক সংস্কারসহ ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে বাংলাপেক্স-২০২০ এর চতুর্থ বাংলাদেশ জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, চিঠিপত্র ও ম্যানুয়েল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল ফর্মেটে তৈরি হওয়ায় ডাকঘরে কাজের পরিধি অনেক গুণ বেড়েছে। ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। করোনাকালে প্রচলিত পণ্য, বাজার ও বাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল কমার্স এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আমাদের আগামী দিনের বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বোঝাবে। পৃথিবী দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যও ডিজিটাল হবে। ডাকঘর সারাদেশে বিদ্যমান বিশাল নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাণিজ্যে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।
ডাক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশন এ ভার্চ্যুয়াল ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। এ উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ঢাকায় তার দপ্তরে বাংলাপেক্স-২০২০ প্রদর্শনী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাকটিকিট অসাধারণ জ্ঞান অর্জনের হাতিয়ার। নতুন প্রজন্মের হাতে জ্ঞানের হাতিয়ার এ ডাকটিকিট পৌঁছে দিতে হবে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডাকটিকিট প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাকটিকিট সংগ্রাহক বাড়াতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, আন্তর্জাতিক ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বার্নি বেল্টন ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মনির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
Comments are closed.