November 21, 2024, 8:58 am
সারাবিশ্বে দুর্ভিক্ষ ও চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদেরকে এখন সাশ্রয় ও সঞ্চয় করতে হবে। আমাদের নিজেদের যে মাটি আছে, যার যেটুকু আছে- নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা নিজেরা করে রাখুন। না হলে সামনে এমন অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে যে..(সেটা ভয়ংকর)।ভারত সফর নিয়ে আজ বুধবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন এটা আমাদের জন্য বড় একটা বোঝা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারাও তো মানুষ। আমরা তো ফেলে দিতে পারি না।অর্থপাচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নজরদারিতে আনা হয়েছে বলেই আপনারা জেনেছেন। আপনারা (সাংবাদিক) তো এটি খুঁজে বের করেননি। অর্থপাচার নিয়ে এমন এমন নাম আসবে, আপনারা সেটা লিখবেন কি না- তখন সেটা দেখব।
সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে খুব ভালো অভ্যর্থনা পেয়েছি। নিজে ভালো হলে সব ঠিক। আর আপনি যদি এদিক-ওদিক করেন তাহলে তো..।আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক। যদি প্রশ্ন করি, কী দিলাম? বাংলাদেশের প্রায় চারপাশ দিয়েই কিন্তু ভারত। একেবারে শূন্য হাতে এসেছি, তা নয়। এটা আসলে মনের ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশে এত কাজ করার পরেও বিএনপি বলে কিছুই করিনি।বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুটিংয়ের পর এখন এডিটিং চলছে। ৭ মার্চের ভাষণের দৃশ্য অভিনয় করে দেখালে মানুষের এটা নিতে একটু অসুবিধা হয়। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো অভিনয় করতে হবে। এটা যখন সিনেমা, একে সিনেমা হিসেবেই দেখতে হবে। অভিনেতারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এডিটিং শেষ হলে একটা ভালো সময় দেখে এটা আসবে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশের) সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মুক্তিযুদ্ধকালে সহযোগিতা এবং ভাষা ও সংস্কৃতির মিলের কারণে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মতি এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারত সমৃদ্ধশালী দুই দেশে পরিণত হবে বলে আশা করেন তিনি।গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।
Comments are closed.