November 21, 2024, 8:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন সাতক্ষীরায় অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও পৈতৃক সম্পত্তিতে আপন দুই ভাইয়ের প্রাপ্ত অংশ দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে ছোট ভাই রাজিউল হাসান। এব্যাপারে বাঁধা প্রদান করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, হত্যা, গুমসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদান করছে রাজিউল হাসান ও রবিউল ইসলাম। নিরুপায় হয়ে রফিকুল হাসান সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে দুই জনের বিরুদ্ধে নন জিআর মামলা করেন। মামলা নং- ৯৩/২২। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজিউল হাসান। আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখার নামে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও ব্যাংকের নামে নামপত্তনকৃত সম্পত্তি ভোগ দখল ও স্থাপনা গড়ে তোলার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে রাজিউল হাসান ও রবিউল ইসলাম।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে আব্দুর রকিব ও রফিকুল হাসানের অংশ বাদ দিয়ে বাকি সাত জনের অংশ দুই বাড়ি থেকে প্রাপ্ত পিতার এস.এ রেকর্ডীয় ৩ একর ৮১ শতক সম্পত্তি বন্ধক রেখে এড. আব্দুর রউফ সুন্দরবন রাইচ মিলের নামে ১৯ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখা থেকে ঋণ নেয়। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ আদালতে মামলা হয়। মামলা নং- ৩/২০০৩। উক্ত মামলা ২৫ মে ২০০৪ সালে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়। এরপর জারি মামলা হয়। মামলা নং- ২/২০১১। এই মামলা ২০১১ সালের ২৪ জুলাই নিস্পত্তি হয়। অপরদিকে ১৯৯৫ সালে মো. রাজিউল হাসান রাজারবাগানের মায়ের ৮০ শতক ও পুরাতন সাতক্ষীরা কলবাগানের ৫৩ শতক সম্পত্তিসহ মোট ১৩৩ শতক সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে নিউ সাতক্ষীরা ব্রিকসের নামে অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখা থেকে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। যথা সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ মামলা হয়। মামলা নং- ২/২০০৩। পরবর্তীতে সেটা জারি মামলা হয়। মামলা নং- ৩/২০১১। এই মামলা ২৭ অক্টোবর ২০১১ সালে নিস্পত্তি হয়। পরবর্তীতে খারিজ খতিয়ানের মাধ্যমে ব্যাংক নিজ নামে নামপত্তন করে। যার খতিয়ান নং- ৮৯৯/১/১, তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭ এবং সেই মোতাবেক ব্যাংক ১৪২৫, ১৪২৬ ও ১৪২৭ বঙ্গাব্দের খাজনা পরিশোধ করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে রাজিউল হাসান আকলিমা খাতুনের অংশের বন্ধকীয় সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পত্তি মিলে ২ একর ৬৭ শতক সম্পত্তি ছলচাতুরি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্টার অফিস হতে দলিল তৈরি করে নেয়। দলিল নং- ৩৬৩১/২০২০। এরপর তথ্য গোপন করে নামপত্তন করে। যার খতিয়ান নং-২১৮৬, জমির পরিমাণ: ২ একর ৬৬ শতক। ভূয়া নামপত্তনের বিরুদ্ধে মিস কেস করার পর এসিল্যান্ড সুমনা আইরিন ১৯/৪/২২ তারিখে উক্ত নামপত্তন বাতিল করেন। মিস কেস নং- ২১/২০২১-২০২২ এবং এই দলিলের বিপক্ষে আব্দুর রকিব ও রফিকুল হাসান বাদী হয়ে সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ১ম আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছেন। মামলা নং- ৯০/২১। এ ছাড়া দেওয়ানী মামলা ৩০/২২ উক্ত আদালতে চলমান রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজসে রাজিউল হাসান উভয় ঋণের আওতাধীন আনুমানিক ২০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫ বিঘা বন্ধকীয় সম্পত্তি ৩৬৩১/২০২০ নং দলিল দ্বারা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, আব্দুর রকিব ও রফিকুল হাসানের সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা এবং জমির ফল-ফলাদি জোর পূর্বক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে রাজিউল হাসান ও রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। পৈতৃক সম্পত্তি বন্টন সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলমান কাজ বন্ধ রাখার জন্য এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মো. রফিকুল হাসান।
Comments are closed.