November 21, 2024, 8:44 am
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আসছেন। আজ সোমবার খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় জনসমাবেশে তিনি বক্তব্য দেবেন। সার্কিট হাউসের আশপাশের সড়কগুলোয় কার্পেটিং করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বরণ করতে প্রস্তুত সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর আগমণ ঘিরে খুলনা বিভাগ জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-পোস্টা সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন এবং নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে গোটা মহানগরী। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর এ আগমন উপলক্ষে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমাবেশ ঘিরে খুলনা সেজেছে নবরূপে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলি-গলিতেও শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-প্যানাফ্লেক্স। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নগরী যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। দিন-রাত চলছে সরকারের উন্নয়ন বন্দনা নিয়ে মাইকিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করছেন নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় রূপ দিতে জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ। চলছে মাইকিং, পোস্টারিং, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ড, তোরণ নির্মাণ, আলোকসজ্জা, প্রচার মিছিল। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে গোটা খুলনা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ইতোমধ্যে দফায় দফায় দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রস্তুতি দেখছেন। প্রতিদিন শহরে প্রচার মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা। নগরীজুড়ে দিনরাত চলছে মাইকিং, লাগানো হয়েছে পোস্টার, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ। সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হচ্ছে নিচে নৌকা ও ওপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। এতে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন। মঞ্চের উচ্চতা সাড়ে ১৩ ফুট। সমাবেশে সার্কিট হাউস মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে। শিববাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এলইডি মনিটরে দেখানো হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ।
Comments are closed.