November 21, 2024, 8:58 am
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন একদল বেকার যুবক। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩ তম গ্রেড) প্রবেশে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান। মানববন্ধনে ‘অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ’ নামের ওই সংগঠনটির পক্ষ থেকে আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য তথা পরিবার কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবন্ধী এতিম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে, কিন্তু এখানে সেটি মানা হয়নি। প্রতিবন্ধীরা কোটা না পেলেও শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীর জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া নারী কোটা ৬০ শতাংশ করাটা অভিমাত্রায় হয়ে যায়। তিনি বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে এ রকম বৈষম্যের কারণে বেকার যুবক শ্রেণি হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। পরিবার ও সমাজের কাছে অনীহার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার আত্মহত্যা করেছে। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে সংগঠনটির আহ্বায়ক বলেন, আমরা এ বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছি। এমন বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালত রুল জারি করলেও এর মাঝেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের কোটা নীতি প্রয়োগ করে নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে; যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা। এমন হলে আমরা আদালত অবমাননার কারণে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বেকাররা।
Comments are closed.