February 5, 2025, 9:44 am
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বগুড়ায় শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের কেজি ২৫০-২৮০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দাম হয়েছে দ্বিগুন। পেঁয়াঁজের দাম নিয়ে সবাই অস্থির । কিন্তু কে শোনে কার কথা। বলা হচ্ছে, কার দায় কে নেবে। পেঁয়াজ যেন সবচেয়ে মহাম্যূলবান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় ক্রেতারা মনের ক্ষোভে দুঃখে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।সরেজমিনে শুক্রবার বগুড়ার কাঁচা বাজার ফতেহ আলী বাজার , রাজা বাজার, খান্দার বাজার, রৌ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২৫০-২৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। গত মঙ্গলবার ছিল ১৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহেও বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে ১৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গত শনি রবি ও সোমবার ভারতের দক্ষিন দিনাজপুরে পেঁয়াজ ৫০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছে । সীমান্তে দেখা গেছে পেঁয়াজ রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ। সোমবারে হিলি সীমান্ত পার হওয়ার সময় অনেকের কাছে থেকে কাষ্টমস এবং বিএসএফ এক কেজি পেঁয়াজ পর্যন্তও ব্যাগ থেকে রেখে দিয়েছে।বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা গৌরাঙ্গ দাস ও হাসান জানান, আগে যেমন ১ কেজির কম কেউ কিনত না। এখন বেশিরভাগ ক্রেতাই আড়াই শো গ্রাম করে কিনছেন। দাম বেশি নিয়ে অনেকের সাথে বাক বিতন্ডাও হয় প্রতিদিন। কিন্তু আমাদের কি করার আছে। আমরাতো কিনে এনে বিক্রি করি।সূত্রাপুরের আব্দুল হান্নান জানান, পেঁয়াজ ছাড়াই তরকারি খেতে চাই। কিন্তু গিন্নিরা পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাই করতে চায় না। পেঁয়াজ কম হলেই তাদের মাথা গরম হয়ে যায়। আজ আড়াইশো গ্রাম কিনলাম। টাকায়তো কুলায় না।শহরের সূত্রাপুরের বাসিন্দা সরকারী চাকুরে নাসরিন আকতার জানান, শুক্রবার সকালে শহরের কলোনী বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ২৫০টাকায়। অপরদিকে শহরের রহমাননগরের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, বকসিবাজারে এক কেজি পেঁয়াজর দাম ২৮০ টাকা।বগুড়া রাজা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ তিন চার দিনের বেশি রাখা যায় না, পঁচে যায়। দেশী পেঁয়াজ শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত সংকট কাটবে না। তিনি আরো জানান, কাশিনাথপুর, পাবনা, বেড়া, সাথিয়া, সুজা নগর, নাটর, কুষ্টিয়া, ঈশ্বরদী, মেহেরপুর এসব জায়গায় পিয়াজ বেশি উৎপাদন
Comments are closed.