March 14, 2025, 5:07 pm
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় চাকরি হারালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক মোর্শেদ হাসান খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিনেটের ওই নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, শামসুজ্জামান খান, বাহারুল মজনুন চুন্নুসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য জানান, সভায় বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরো জানা গেছে, একই সঙ্গে দুই প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ (প্রশাসন) ও অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামালের (শিক্ষা) মধ্যে সামাদকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সে সময় অধ্যাপক মোর্শেদকে বরখাস্ত করার দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ২ এপ্রিল অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এরপর মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেজন্য আইনি সুপারিশ করতে গত বছর ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
Comments are closed.