November 21, 2024, 8:30 am
বাংলাদেশে প্রথম করোনা শুরু হয়েছিলো ৮ই মার্চ। আর আজ (৮ নভেম্বর) করোনার ৮ মাস পূর্ণ হলো। গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৯ জনে এবং মোট ৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৮ জন।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ দ্রুতই করোনা মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়েছেন এবং রোগীদের হাসপাতালের ওপরে নির্ভরতা অনেক কম। অধিকাংশ রোগীই বাসায় বসেই চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে কিছু কিছু জায়গাতে ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেভাবে মানা হয়নি আর সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম ছিলো। এছাড়া নীরব সংক্রমণ বাড়ছে এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হচ্ছে। সেখানে আমাদের প্রস্তুতি এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে আশার কথা বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে ।
করোনার মধ্যে সব আলোচনা ছাপিয়ে গেছে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান। বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতের মাস্ক কেলেঙ্কারী, করোনার টেস্টের কেলেঙ্কারীসহ দুর্নীতিতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে সরকার।
এতোকিছুর পরেও করোনা মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ খুবই প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে করোনা মোকাবেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা, শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পর্যাক্রমে চালু করা, স্বাস্থ্যবিধির ওপরে জোর দেয়া এবং ডিজিটাল মাধ্যমে প্রশাসনিক সেবা দেয়া। এছাড়া মাঠ প্রশাসনের কাজের গতি স্বাভাবিক রাখতে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের উদ্যোগ খুবই প্রশংসিত হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি আশেপাশের দেশগুলোর তুলনায় দ্রুত এগোচ্ছে। এজন্য সরকারের ধারাবাহিকতা, শক্ত নেতৃত্ব, সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের ভূমিকা রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এছাড়া করোনার শুরুতেই অর্থনৈতিক প্যাকেজগুলো ঘোষণা করেছিলো সরকার। এখন তার একটা বড় প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত টিকিয়ে রাখা, শ্রমিকদের বেতনের ব্যবস্থা খুবই দ্রুততার সঙ্গে করতে পারা। একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে অন্যদিকে শিল্প কারখানা পর্যায়ক্রমে খুলে অর্থনীতির চাকাকে সচল করেছে।
Comments are closed.