January 15, 2025, 8:46 am
সাতক্ষীরা (সদর) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম মোঃ লিটন। সে ফিংড়ি ইউনিয়নের হাকিম মালীর পুত্র। এদিকে ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর তার বাবাকেও পাওয়া গেল ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ। পুলিশ তাকেও গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ জানায়, গত ২৩ সে সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ সকাল সাড়ে আট টায় ফিংড়ি থেকে শিমুলবাড়িয়া গ্রামে নানীর বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলো (১৪) এক কিশোরী। পথিমধ্যে কিশোরীর পুর্বপরিচিত লিটন (২১) তাকে স্পিড খেতে দেয়। স্পিড এনার্জি ড্রিঙ্ক খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়ে। মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, অচেতন হয়ে পড়লে কিশোরীকে বাইসাইকেলে তুলে লম্পট লিটন আলিপুরের পাচানী গ্রামে তার বড় ভাইয়ের বাড়ি নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে আটকিয়ে রাখে।এদিকে কিশোরীর নানা গন্তব্যেস্থলে নাতনীকে না পেয়ে বিভিন্ন জাগায় খোজাখুজির এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় পাঁচানি গ্রামে আসামির বড় ভাই ফলজুর বাড়ি থেকে নাতনীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।উদ্ধার হওয়া কিশোরী তার নানা ও মামলার বাদীকে জানান, তাকে স্পিড এনার্জি ড্রিঙ্কের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খেতে দিয়েছিল পুর্বপরিচিত লিটন।
পরে লিটনের বড় ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করেন।মামলা সূত্রে আরো জানা গেছে বিষয়টি নিয়ে কিশোরীর নানা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও লোকাল গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন রকম সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ধর্ষিতার নানা বাদী হয়ে সোমবার ৭ অক্টোবর ২২.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং ২৪, তাং ০৭/১০/২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ।ডিবি পুলিশ জানায়, ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশ সুপারের কানে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন আসামি আটকের। পরে মামলা রুজুর ১ ঘন্টার মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর পিপিএম (বার)এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন টিম সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে রাত ১০ টার দিকে ধর্ষক লিটনকে আটক করতে সক্ষম হয়। একই সাথে ডিবি পুলিশ ধর্ষক লিটনের বাড়িতে অভিযান চালিয় লিটনের পিতা গাজা ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম মালীকে ১০০ গাঁজাসহ আটক করতে সক্ষম হয়।সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মামলার বিষয় ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বুধবার আদালতে সোর্পদ করার মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
Comments are closed.