নিজস্ব প্রতিনিধি: সদরের ব্রহ্মরাজপুরে কালভার্ট নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান।লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সম্প্রতি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক একটি কালভার্টর নির্মাণের টেন্ডার হয়। কালভার্টটি নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যান নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তির প্রাচীর ভেঙে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। অথচ তার পাশেই সরকারি খাস জমি রয়েছে। ওই খাস জমির উপর দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করলে একদিকে আমার সম্পত্তি নষ্ট হতো না অন্যদিকে অত্র পানি নিস্কাশিত হতো। কিন্তু যেখান দিয়ে উক্ত কালভার্ট নির্মাণের চেষ্টা হচ্ছে সেখানে নির্মাণ করলে অত্র এলাকার পানি তো নিস্কাশিত হবে না শুধু পয়সা ব্যয় করা হবে মাত্র এবং আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে। এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও কোন কাজ হচ্ছে না। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী প্রকৌশলী জাহানারা খাতুন নিজে (ফিল্ডে) সরেজমিনে না গিয়ে কাজটি পাশ করেছেন। যা নিয়ম বহির্র্ভূত। এধরনের প্রকল্প পাশ করার পূর্বে অবশ্যই প্রকৌশলীকে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে হয়। কিন্তু বর্তমান প্রকৌশলী জাহানারা চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজস করে অফিসে বসেই প্রকল্পটি পাশ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য নং ৫৭২৪৫৭। এ ব্যাপারে তিনি তার সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক কালভার্ট নির্মাণ বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এদিকে এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ জানান, তাদের তিন পাড়ার পানি নিস্কাশন হতো সরকারি রাস্তার পাশের ড্রেন দিয়ে। কিন্তু ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান পানি নিস্কাশনের সেই পথ ও সরকারি খাস জমি এমনভাবে দখল করে উঁচু পাকা প্রাচির নির্মাণ করেছেন যার ফলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারিভাবে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও এ কালভার্ট তাদের কোন কাজে লাগবে না। এলাকাবাসি বিষয়টি নির্মাণাধীন কালভার্ট দিয়ে যাতে পানি নিস্কাশন হয় সেজন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।