November 21, 2024, 8:30 am
নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময়ের সন্ত্রাসী এলাকার সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ লুন্ঠনকারী ভুমিদূস্য হত্যা মামলার আসামি খলিলুর রহমানের নামে নতুন করে ঘের দখলের অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তনাধীন রয়েছে। খলিলুর রহমান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের টিকারামপুর গ্রামের মৃত ফকরউদ্দীনের ছেলে। পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের জনৈক আসাদ মীর বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, ছোট বেলা থেকে বেপরয়া চলাফেরা করত খলিল। এরপর থেকে রাজনীতিতে যোগদান করে আরো বেপরয়া হয়ে ওঠে।ওই সময় সে জড়িয়ে পড়ে কয়েকটি হত্যাকান্ডের মত ঘটনায়। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। একসকল অপরাধের জন্য কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে তাকে। কয়েকবছর আগে সে এলাকার বিএনপি নেতাদের শেল্টারে এলাকার বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে জমি দখল করে তাদের ভারতে যেতে বাধ্য করেছে। ২০২০ সালে টিকারামপুর গ্রামের কামাল নামে এক য্বুককে বিষাক্ত মদ পান করিয়ে হত্যাকরে। ঘটনাটি তখন সরকারী দলের ছত্রছায়ায় থেকে মোটাঅংকের অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপাও দেয়। এরপর থেকে এলাকায় যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে কয়েক একর জমি দখল করে ঘের দখল করে নেয়।একসময় যে দরিদ্ররসীমার নিচ বসবাস করত সে এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। বছর দুই আগে ইউপি নির্বাচনে নৌকা সমর্থিত প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমানকে নির্বাচনের মাঠে হামলা করে। ওই সময় রনজিত নামে এক সংখ্যালঘু আ.লীগ নেতাকে মারপিট করে। এরপর সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাবীর হোসেন ও সংসদের ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্ম করে বেড়ায়। কিছুদিন আগে মোটাঅংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলা যুবলীগের শীর্য দুই নেতাকে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নেয় যুবলীগের আহবায়কের পদ। এরপর নেতা বনে গিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। বর্তমানে তার ভয়ে অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন দেশ ছেড়ে ভারতে যেতে বাধ্য হচ্ছে। খলিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। অচিরে এই যুবলীগ নেতার বহিস্কার দাবী সহ তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা। গোবিন্দ লাল ঘোষ গোপি নামে এক জমির মালিক জানায়,বছর পাঁচেক আগে তার দশ বিঘা জমি দশ হাজার চুক্তিতে হারিতে চুক্তিবদ্ধ হয় খলিল। পরে বছর পার হতে না হতেই সে জমির হারি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কোন ফল প্রসু হয়নি তার। এরপর তার কাছে জমির হারি চাইতে গেলে সে নিজেকে জমির মালিক দাবী করে উল্টা মারপিটের হুমকি দেয় তাকে। উপায় না পেয়ে তিনি আদালতের দারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক টিকারামপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জানায়, খলিল যুবলীগ নেতা হওয়ার পর থেকে বেপরয়া চলাফেরা করে। কিছুদিন আগে সে যুবলীগ নেতা হয়ে খাল দখল ঘের দখল সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি সময় সে সরকারী রাস্তা কেটে নিজের ঘেরে পানি তুলে নিচ্ছে।তার এই ফাঁদে পড়ে এলাকার বহু মানুষ আজ নি:স্ব।এই অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। এছাড়া তার কাছে অবৈধ আগ্নেআস্ত্র আছে বলে জানান তিনি। সমাজের এধরনে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সংখ্যালঘুদের সুরোক্ষার জন্য প্রশাসনের সুদৃৃষ্টির কামনা করেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে খলিলুর রহমান জানান, তিনি কখনও কারো ঘের দখল করেন নি। এলাকায় কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই তার। এছাড়া রাজনৈতিক কারনে তার নামে মিথ্যা মামলা সহ কারাবরন করতে হয়েছে তার। অস্ত্রের বিষয়ে প্রস্ন ছুঁড়ে দিলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন তার নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে এমন দাবী তার। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সি আই ডি) সহকারী পুলিশ সুপার কাজী আবু দাউদ জানান, খলিলুর রহমানের নামে একটি মামলা সি আইডিতে তদন্তধীন রয়েছে। তার সকল বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
Comments are closed.