November 21, 2024, 8:29 am
ভোজ্যতেলে ভেজাল নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দূষণমুক্ত না করেই ট্যাংকারে ভোজ্যতেল পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণমুক্ত না করেই জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকারে ভোজ্য তেল পরিবহণ করায় চীনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে লাখ লাখ নেটিজেন সরকারের সমালোচনার করে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন ভোজ্যতেল কোম্পানির বিরুদ্ধে কয়লা ও জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্রাকে ভোজ্যতেল পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। এ তালিকায় দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত ৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এগুলো হলো সিনোগ্রেইন, হোপফুল গ্রেইন এবং অয়েল গ্রুপ। চীনে এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। দেশটির ট্যাংকার জাহাজ ও ট্রাকে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি তরল খাদ্যও পরিবহন করা হয়। নেটিজেনদের অভিযোগ, ট্রাকগুলো ঠিকমতো দূষণমুক্ত ও পরিষ্কার না করেই ভোজ্যতেল পরিবহন করা হয়েছে।
এক নেটিজেন লিখেন খাদ্য নিরাপত্তা এখন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তার এ পোস্টে আট হাজারের বেশি ব্যবহারকারী লাইক দিয়েছেন। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, আমি খুবই সাধারণ মানুষ। আমি বাঁচতে চাই। আর তার জন্য প্রয়োজন হবে দূষণমুক্ত খাদ্য। বিবিসি জানিয়েছে, দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে গতকাল বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনারও ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং প্রশাসন।
এর আগে ২০০৮ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সানলুর গুঁড়াদুধ পানে সাড়ে তিন লাখ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়। পরে পরীক্ষায় গুঁড়াদুধে উচ্চমাত্রার রাসায়নিক পদার্থ মেলামিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, মেলামিন পরিবহনের জন্য যেসব ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো ঠিকমতো দূষণমুক্ত করা হয়নি।
Comments are closed.