November 21, 2024, 8:47 am
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই লকডাউন। এ সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ২৩ কোটি ০৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৮ জুন) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড-১৯ উপলক্ষে লকডাউন চলমান থাকায় ২৩ কোটি ০৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আজকে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীকে পরিষ্কারভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যথাসম্ভব গত বছর যেভাবে করা হয়েছিল, সেভাবে একটা প্রোগ্রাম ছকআউট করে করার জন্য বলা হয়েছে। বিশেষ করে শহর এলাকায় সমস্যা হয়, সেদিকে নজর দিয়ে যাতে তাদের যথাযথভাবে সাহায্য করা যায় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, বিজিবিও মাঠে থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আগামী ১ জুলাই থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ট্রিক্ট ভিউতে (কঠোর অবস্থানে) যাচ্ছি আমরা। এতটুকুই শুধু বলে দিলাম। ১ তারিখ ভোর ৬টা থেকে ৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা। খুবই স্ট্রিক্ট ভিউতে, কারণ চারটি জেলার সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখেছি। সেখানে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ডিআইজি, এসপি, সিভিল সার্জন, পরিচালক, জনপ্রতিনিধি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই ছিলেন। সবারই বক্তব্য এবং সেখানে গ্রাফিক প্রেজেন্টেশন তাতে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের একটা বড় অংশ অরেঞ্জ, রেড বা ব্রাউন হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখন আমাদের বিধিনিষেধ আরোপ করা ছাড়া উপায় নেই।
দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ জুন কোভিড-১ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারাদেশে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শার্টডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সময়ে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা রাখা যাবে- সেক্ষেত্রে কর্মীদের নিজস্ব পরিরহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যদিকে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে আগামী ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। ওই সময়েও শিল্প কলকারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে। এই সময়ে রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে ব্যাংকিং সেবাও চালু রাখা হতে পারে।
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও আট দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
Comments are closed.