November 21, 2024, 8:38 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
লাখ টাকায় ভোট কেনার গুজব ছড়িয়ে এখন ১০ হাজার টাকা!

লাখ টাকায় ভোট কেনার গুজব ছড়িয়ে এখন ১০ হাজার টাকা!

লাখ টাকায় ভোট কেনার গল্প ছড়িয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধু¤্রজাল সৃষ্টির সাথে যুক্ত অনেকের ভোল পাল্টে ফেলেছেন। আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন কোথায় এক, আর কোথায় এগারো। কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতাই হবে না। তারপরও চরম হতাশার মধ্যে একজন প্রার্থী শেষমেষ ভোট প্রতি ১০ হাজার টাকা দর নির্ধারণ করে নিজে এবং পক্ষে কাজ করা কয়েকজনকে মাঠে নামিয়েছেন। তবে, শর্ত টাকা নিতে হবে মসজিদে ওয়াদা করে। যদিও এসব খবরের কোন সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

আর মাত্র ৪দিন পর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। একজন জেলা পরিষদের গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী, জেলা আওয়ামী লীগের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম। অপরজন দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধ স ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী এম খলিলুল্লাহ ঝড়–।

নির্বাচনে জেলার ৭টি উপজেলা পরিষদ, ২টি পৌরসভা এবং ৭৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জেলায় মোট ভোটার ছিল ১০৬১ জন। একজন ইউপি সদস্য বরখাস্ত হওয়ায় তিনি ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন এবং শ্যামনগরে অপর একজন জেলা পরিষদে সদস্য প্রার্থী হওয়ায় তার নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন ভোটার ১০৬১ জন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলার ১১টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রতিদিন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়ালেও অপর জনের দৃশ্যত কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। একজন প্রতিদিন কোন না ইউনিয়নে ভোটারদের সাথে সাক্ষাৎ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন এবং উপজেলার সকল ভোটারদের একত্রিত করে ৫টি উপজেলায় মতবিনিময় সভা সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ১৯৭জন, শ্যামনগরে ১৫৮জন, কালিগঞ্জে ১৫৯জন, তালায় ১৫৯জন এবং কলারোয়ায় ১৭২জন ভোটারসহ মোট ৮৪৫জন ভোটারের মধ্যে আট শতাধিক ভোটার এসব সভায় উপস্থিত ছিলেন। ভোটাররা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে মোটরসাইকেলের প্রতীকের পক্ষে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। খুনি ও বদ লোকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোটাররা দলমত নির্বিশেষে একাট্টা প্রকাশ করেছেন। উন্নয়নকামী ভোটাররা সৎ নেতৃত্ব বেঁছে নিয়ে আগামী ১৭ তারিখে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
এদিকে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে মাঠে নেমেছে ভোটার নয় এমন একটি গ্রুপ। এই গ্রুপটি সাধারণ ভোটারদের প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্যামনগরের একজন বিএনপিপন্থি ইউপি চেয়ারম্যান জানান, অপর একজন চেয়ারম্যান তাকে ভোট কেনার জন্য ভোটার প্রতি দশ হাজার টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বিনয়ের সাথে সে প্রস্তাব প্রত্যাক্ষাণ করেছেন।
কালিগঞ্জে একজন সদস্য প্রার্থীর উদ্বৃতি দিয়ে অপর একজন ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাকে প্রতি ভোট ১০ হাজার দরে কিনে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তবে, তিনি নিজে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে একাজ তার দ্বারা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
দেবহাটা থেকে একাধিক ব্যক্তি জানান, সেখানে ভোট কিনতে মাঠে নেমেছে অন্তত তিনজন। তারা নানা রকম প্রলোভন দেখিয়েও ভোটারদের সততার কাছে পেরে উঠছে না। চক্রটি একটি নিদিষ্ট প্রতীকে ভোট চেয়ে ভোটার প্রতি দশ হাজার টাকার প্রস্তাব দিয়ে বলেছে মসজিদে উঠে নামাজ পড়ে ওয়াদা করে টাকা নিতে হবে। একই প্রস্তাব করা হয়েছে কালিগঞ্জ ও আশাশুনিতেও। তবে কোন জায়গায় পাত্তা পাচ্ছে না ভোটকেনা চক্রটি।
নির্বাচনের শুরু থেকে ভোট ক্রয়ের এই গুজব ছড়ানো প্রার্থীর মাঠে প্রকাশ্য তেমন কোন তৎপরতা না থাকলেও ভোটার নয় এমন কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। ভোটের মাঠ অনেকটা গরম করে ফেলেন তারা। এদের একটি বড় অংশ ছিল কিছু নষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা।
এদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন প্রার্থী ভোটারদের প্রলোভন দেখাতে পারবেন না। কোন প্রার্থী ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারবেন না। একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন।

সূত্র: দৈনিক পত্রদূত


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com