তরুণ-তরুণীদের ভীড়ে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা। শিশুদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ মেলা প্রাঙ্গন। স্টরগুলোতে নারী ও শিশুদের মিলনমেলা। কেউ এসেছেন পোকাশের স্টলে, কেউ খেলনার স্টলে, কেউ মনিহারির দোকানে কেউ আবার এসেছেন বিনোদনের স্বাদ নিতে।বৃহস্পতিবার বিকেলে গুড়পুকুর মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় যুব-মহিলা ও শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত। মায়ের হাত ধরে মেলায় আসা শিশু ফাহিম (৬) জানায় সে এবারই প্রথম মেলায় এসেছে। মেলা এসে সে নাগরদোলায় উঠেছে, ইলেক্ট্রনিক নৌকায় উঠেছে। বায়না ধরে কিনেছে পছন্দের দুটি খেলনা। শুধু ফাহিম নয়, তার মতো মায়ের হাত ধরে মেলায় এসেছে রিক্তা (৫), নয়ন (৪), শোভা (৬), প্রিয়তি সাহা (৪)সহ অনেকেই। তারাও মেলায় ঘুরে আনন্দ লুটেছে।কলেজ শিক্ষার্থী অপরূপা মল্লিক এসেছিলেন মনিহারির জিনিস কিনতে। কিনেছেন পছন্দের চুড়ি, ফিতা, কানের দুল, পায়ের মল, ব্যাসলেট, ব্যাগ ও জুতা। অপরূপা মল্লিকের মতো শিউলী সদিক, মাহিরা তাবাচ্ছুম, অনিকা ঘোষ, পিংকি সাহাসহ অনেকেই এসেছিলেন দলবেঁধে। তারা কিনেছেন পছন্দের জিনিসপত্র। মেলা ঘুরে আরও দেখা গেছে, দোকানীরা বিভিন্ন পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসেছেন। প্রত্যেকটি স্টলে নারী ও শিশুদের ভীড়। তবে অনেকের অভিযোগ মেলায় প্রত্রেকটি জিনিসের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। কোনটির দাম আবার কমও আছে। তবে মেলার জিনিসের গুণগত মান নিয়েও রয়েছে কৌতুহল। শিশুদের খেলনা জাতীয় জিনিসের দাম একটু বেশি বলে জানান দর্শণার্থীরা। কিন্তু শিশুদের মনের দাবি রক্ষা করতে গিয়ে দামের দিকে না তাকিয়ে কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। তবে গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক আছে বলে জানান ক্রেতারা।দর্শণার্থীরা আরও জানান, দাম যাই নিক না কেন মেলা যেনো বন্ধ না হয়, এ মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এ সাতক্ষীরার ঐতিহ্য। এ মেলার মাঝে আমরা খুঁজে আমাদের ফেলে আসা শৈশব। এ মেলা আমাদের শত বছরের সংস্কৃতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সমুন্নত রেখেছে।