November 21, 2024, 8:57 am
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে। তবে রয়ে গেছে কুয়াশার দাপট। এছাড়া বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। গতকাল মঙ্গলবার এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। বুধবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টি/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত শ্রীমঙ্গলে নেমেছে কনকনে শীত। গত কয়েক দিন থেকে হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোরে কুয়াশার দাপটে চারদিক ধোঁয়াটে আঁধারে ছেয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার বৃহত্তর সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল হওয়ার পরপরই শ্রীমঙ্গলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তিনি আরও বলেন, ধীরে ধীরে এখানকার তাপমাত্রা এখন কমছে। ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে। চলতি মৌসুমে অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে। শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এদিকে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় প্রতিদিন বাড়ছে। মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিওপিডি রোগী যারা আসেন অর্থাৎ ধূমপানজনিত কিংবা মাটির চুলার কারণে যারা অসুস্থ তারাই এ সময় হাসপাতালগুলোতে বেশি ভর্তি হয়ে থাকেন। ঠাণ্ডাজনিত রোগের মধ্যে এটিও অন্যতম। তাই তাদের এ সময় আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শীতজনিত রোগে আমাদের সব উপজেলার হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই থেকে তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানান তিনি।
Comments are closed.