January 15, 2025, 1:47 pm
কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগ করার সুবাদে পরিচয় হয় আছাদুজ্জামান মিন্টু ওরফে ছোট মিন্টুর সাথে। তখন তারুণ্যের তেজ আর পোশাক আসাকে আভিজাত্যের ছোঁয়ার কারনে খেয়ালীপনায় তাকে কেউ কেউ মডেল মিন্টু বলেও ডাকত। সেই সময় থেকে উপজেলার আ’লীগ নেতার বেশ বাধ্যগত ছিল সে। তাদের কথা যেন পিতার আদেশের সমান ছিল তার কাছে। পরবর্তীতে সে সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দ্বায়িত পালন করেন। ২০১৩ সালে যখন সারাদেশ তান্ডব চালাচ্ছিল পত্র-পত্রিকা আর টিভি চ্যানেল খুললেই চারিদিকে মৃত্যুর সংবাদ আর সন্ত্রাসী তান্ডব। প্রাণ ভয়ে অনেক আ’লীগ নেতা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু সেদিনের সেই তরুণ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে এবং দলকে শক্তিশালী করতে মাঠে সক্রিয় ছিল। নেতার আদেশ পালন করতে গিয়ে হয়তবা আজ পরিবার সমাজের চোখে চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং সবচেয়ে বাজে ছেলেটাই আজ সে। বেশ কিছুদিন আগে জানতে পারি সেই তরুণ ছেলে আজকের ৩৫ বছরে টগবগে যুবকের হৃদযন্ত্রে ধরা পড়েছে পাঁচটি ব্লক। ডাক্তার বলছে তাকে বাঁচাতে গেলে লাগবে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন।
রাজনৈতিক অঙ্গণে দৌঁড়াতে গিয়ে মিন্টু আজ ছন্নছাড়া সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায়। ঘরে স্ত্রী আর চার বছরের একমাত্র সন্তান। তার চিকিৎসায় ব্যায় করতে গিয়ে ইতিমধ্যে নি:স্ব হয়ে গেছে পরিবারটি। একজন গনমাধ্যমকর্মী হওয়ার সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি দেখার পর কথা বলি সহকর্মীদের সাথে। তারা জানায়, অসুস্থ মিন্টু বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে নাকি বাঁচার জন্য সবার কাছে আকুতি জানাচ্ছে কেউ সাড়া দিচ্ছে আবার কেউ বা নিরব। এদিকে জেলার সাবেক এক শীর্ষনেতা থেকে শুরু করে উপজেলার নেতাদের সাহায্যের আবেদন দিয়ে ফেসবুকে দায় সারা পোষ্ট। আজ যদি সামান্য অর্থের অভাবে আমাদের মাঝ থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায় ওই যুবক। এ দায় আমাদের সকলের। পরিশেষে জীবন বাঁচাতে সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মিন্টু। সাহায্যের জন্য বিকাশ নং- ০১৭১২-৭৭৩৭০৬ (পার্সোনাল)।
Comments are closed.