November 21, 2024, 9:02 am
সুরাইয়া খাতুন: সাতক্ষীরায় তিন’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা জমে উঠেছে। বাঁধ সাধছে বৃষ্টি। এবার মেলায় স্টলের সংখ্যা বাড়ছে। বেড়েছে শিশুদের খেলার বিভিন্ন রাইড। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে শহরের শহিদ আবদুর রাজ্জাক পাকে মেলার স্টলগুলোতে সকাল দশটা বাজতেই লোক সমাগম হতে থাকে। বেলা যত বাড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা মেলা প্রাঙ্গণে ভইড় করতে থাকে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা মেলায় ভিড় জমায় বিকাল হতে রাত পর্যন্ত। কিন্তু এবারের মেলার শুরু থেকে প্রতিদিনি বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো দিন সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় মেলার স্টলগুলোতে মানুষের ঘোরাঘুরি ও যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। বৃষ্টির মধ্যে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাওয়া-আসা করতে ভিজতে হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে কাপড়। শহিদ আবদুর রাজ্জাক পাকের পুরো এলাকা ও শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এবার মেলা বিস্তৃত হয়েছে। পাকের মধ্যে ফাঁকা কোনো জায়গা নেই। গুড়পুকুরের মেলায় কাপড়, তৈজসপত্র, খেলনা, কসমেটিক্স, ইমিটেশনের গহনা, প্লাস্টিক সামগ্রী, খাবারের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যায় মেলায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। মেলা ঘুরে দোকানদার ও দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবারের মেলা বিগত কয়েক বছরের চেয়ে বিস্তৃত হয়েছে। নিরাপত্তাও ভালো।
মেলায় আগত দর্শনার্থী কলেজ শিক্ষার্থী বুশরা আনজুম, তানিয়া ফারদিন, স্বপ্না রায়, অনিক আজম, রনি আহমেদ জানান, মেলায় আসতে পেরে ভালো লাগছে, মেলা এবার একটু বড় পরিসরে হচ্ছে। তবে, মেলা যদি একটু খোলামেলা উন্মুক্ত পরিসরে আয়োজন করা হয় তাহলে ঘোরাঘুরি করতে সুবিধা হবে। আমরা আশা করব আগামীতে আয়োজকরা আগামীতে মেলার পরিসর বৃদ্ধি করে উন্মুক্ত স্থানে মেলার আয়োজন করবেন।
মেলার দোকানদার আমিনুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন জানান, এবার মেলার পরিধি কিছুটা বেড়েছে। তবে, দোকানের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার স্টলের জায়গা একটু বৃদ্ধি পেলে আমাদের কেনাবেচা করতে সুবিধা হবে। এর ফলে মেলায় কেনাকাটা করতে আগত দর্শনার্থীরা চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। আমাদের দাবি আগামীতে মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।
Comments are closed.