November 21, 2024, 9:09 am
এনজিও ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে করোনাকালিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজ সরকারি ভবন ও জনসমাগম স্থানে নির্মিত হ্যান্ড ওয়াস সেটআপ রাতের আঁধারে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও এসব যন্ত্রাংশ তুলে আনার সময় জনগণের বাধার মুখে রেখে আসারও খবর পাওয়া গেছে। অন্তত ৫০টি অধিক এসব হ্যান্ড ওয়াস সেটআপ তুলে এনে শহরের রসুলপুর নিমপুকুর এলাকায় মাঠের মধ্যে রেখে তা ভেঙেচুরে কেজি দরে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। এনজিও ব্র্যাক এর কতিপয় কর্মকর্তা এবং একজন গ্রীলমিস্ত্রি এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ব্র্যাক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কর্মকর্তা মো: আশরাফ হোসেন জানান, করোনাকালিন সময়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে করোনা প্রতিরোধে এসব হ্যান্ড ওয়াস সেটআপ স্থাপন করা হয়। সদর উপজেলার মধ্যে একশ’ স্থানে এই সেটআপ স্থাপন করা আছে। যা তৈরি করতে প্রতিটির মূল্য নিট মনে না থাকলেও ৫০ হাজার টাকার উপরে হবে। অনেক স্থানে এগুলো নষ্ট হওয়ায় তা সংস্কার করারও কাজ চলছিল। তবে এগুলো সংশ্লিষ্ট স্থান থেকে তুলে আনার কোন সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির একটি হ্যান্ড ওয়াস সেটআপ সরিরে নেওয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু সবস্থান থেকে এই সেটআপ সরানোর কোন নির্দেশনা আছে বলে তার জানা নেই।
এসময় তিনি বলেন, আমি একটি ট্রেনিংএ ঢাকায় আছি, দুইএক দিনের মধ্যে সাতক্ষীরায় ফিরে বিষয়টি কি জেনে আপনাকে জানাবো। তবে তিনি পরে আর কোন কিছুই জানান নি।
এদিকে শহরের রসুলপুর এলাকার আব্দুর রাশেদ, সিরাজুল ইসলাম, বাবু দোকানদারসহ একাধিক লোকজন জানান, একই এলাকার আব্দুল মাজেদ এর ছেলে আরিজুল মিস্ত্রির মাধ্যমে ব্র্যাক এনজিওর আরেক কর্মকর্তা জনৈক রোস্তম আলী উভয়ে যোগসাজসে এই সম্পদ ধ্বংস করে তা বিক্রির মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এলাকাবাসী জানান, এনজিওর সম্পদ জনগনের মাঝ থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করতে তা টেন্ডার প্রক্রিয়া অবশ্যই থাকা উচিত। কিন্তু কোন কিছুইনা মেনে অধিকাংশ স্থানে রাতের আধারেও হ্যান্ড ওয়াস সেটআপ তুলে আনতে দেখা গেছে এবং তা রাখা হয়েছে গোপন স্থানে খেজুর বাগানের মধ্যে। আরো কিছু রাখা হয়েছে জেলা পরিষদের সামনে। সেখান থেকে কেটে তা বিক্রির প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। এলাকাবাসি সার্বিক ঘটনা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।
Comments are closed.