নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঠিকাদাররা।
সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক ঠিকাদাররা জানান, সরকারি বিধি মেনে দীর্ঘদিন তারা ঠিকাদারী করে আসছেন। কিন্তু বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে তার পছন্দের ঠিকাররা ছাড়া অন্য কেউ কাজ পাচ্ছে না। সম্প্রতি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে একটি কলারোয়ায় পানির লাইনের একটি টেন্ডার হয়। সেখানে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার জমা দেন। এদের মধ্যে সবোনি¤œ দরদাতা হিসেবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১২০ টাকার টেন্ডার জমা দেন মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স। কিন্তু বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী তার থেকে প্রায় ২০লক্ষ টাকা বেশি দরদাতা মেসার্স ফাতিমা এন্টারপ্রাইজকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন। তার দর ছিলো ১ কোটি ৮৮লক্ষ ৬৭হাজার ৩৫১ টাকা। যা সম্পূর্ণ বৈধ।
এতে করে সরকার ২০ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে ঠিকাদাররা দাবি করেন। তারা জানিয়েছেন ওই ২০লক্ষ টাকাই নির্বাহী প্রকৌশলী নিজের পকেটস্থ করেছেন। যে কারণে অযুহাত দেখিয়ে জিলানী ট্রেডার্সকে কাজ টি দেওয়া হয়নি।
তবে এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, টেন্ডারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম দরদাতার কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় সেটি বাতিল হয়ে গেছে। প্রথম দরদাতা কোন ক্রমে বাতিল হলে দ্বিতীয় দরদাতা টেন্ডারটি পাবেন। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় দরদাতা টেন্ডারটি পেয়েছেন। এছাড়া আর কিছুই না।