January 3, 2025, 4:43 am
সাতক্ষীরা টু ভোমরা রোডের ট্রাক চালকরা যেন দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের মধ্যে সব সময় একটা হীন মনোভাব কাজ করছে কে কত দ্রুত গন্তব্যে পৌছাতে পারে। এ রোডে যে অন্য কিছু চলাচল করে তখন সে হুশ তাদের থাকেনা। তারা এমন বেপরোয়া ভাবে ট্রাক চালায় যেন মনে করে রাস্তাটা শুধু তাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে। এ সময় তাদের গাড়ির বেগ থাকে সবনি¤œ ৮০ কিলোমিটার। যে গতিবেগ যে কোন মুহূর্তে বয়ে আনতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সাতক্ষীরা টু ভোমরা রোডে যে ট্রাকগুলো চলাচল করে তার চালকরা বেশির ভাগই অনভিজ্ঞ হেলপার।অনুসন্ধানে দেখা যায়, ট্রাকের প্রকৃত চালকরা দীর্ঘ পথ গাড়ি চালিয়ে এসে ক্লান্তি দুর করার জন্য হেলপারদের কাছে গাডির দিয়ে সাতক্ষীরা শহরে নেমে যায়। আর এই অনাভিজ্ঞ হেলপারগুলো গাডি নিয়ে ভোমরা স্থলবন্দর এসে মালামাল লোড দিয়ে পুনারায় সাতক্ষীরা শহর পর্যন্ত গাড়িগুলো নিয়ে যায়। এই অনভিজ্ঞ হেলপার দের দিয়ে গাড়ি চালোনার জন্য প্রায় এই রোডে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় পড়–য়া কোমলমতি শিক্ষার্থী, ছোট ছোট যানবাহন চালক, যাত্রী ও সাধারণ পথচারীদের। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কেউ বা সারা জীবনের মত পঙ্গুত্ব বরণ করছে। কেউ বা মৃত্যুকে বরণ করে নিয়ে অকালে চলে যাচ্ছে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে। ট্রাক চালকদের এই বেপরোয়া গতি বেগে ট্রাক চালানোর কারণে সাতক্ষীরা টু ভোমরা রোডে এমন দৃশ্য প্রয় চোখে পড়ে। তাদের এই ট্রাক চালানো পাল¬া আর ওভার ট্রেকিং এর কারণে গত কয়েক দিন আগে সদরের মাহমুদপুর গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া ছেলে জোবায়ের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেলেন। সাতক্ষীরা টু ভোমরা বিশেষ করে আলিপুর চেকপোস্ট টু ভোমরা এই ৯ কিলোমিটার রোডের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে ছোট বড় সব মিলিয়ে ৯টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দুইটা বাজার। এ বাজারে প্রতি দিন শত শত লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আশা যাওয়া করে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। প্রতি দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে ও এই রোডে চলতে হয়। ট্রাক চালকদের এই বেপরোয়া গতি বেগে গাড়ি চালানো এবং ওভার টেকিং টেন্ডেন্সির কারণে প্রতি নিয়ত ঘটে চলেছে মারাত্মক দুঘর্টনা। আর এই দুঘর্টনা কারো কারো জীবনে বয়ে নিয়ে এসেছে সারা জীবনের পঙ্গুত্ব। এমন কি মৃত্যুর মতো করুণ পরিণতি। যে কারণে ছেলে মেয়েদরকে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় পাঠিয়ে বাবা মায়ের আর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। এখনই এর লাগাম টেনে ধরার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
Comments are closed.