November 21, 2024, 6:26 am
মোঃ জাহিদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদর বকচারা বাগাডাংঙ্গা এলাকার ইসরাইল মালীর পুত্র মজনু মালীর উত্থান শুরু হয় মাটি কাটার শ্রমিক ও বাদাম বিক্রি থেকে,কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মজনু মালী খুলে বসেন মিনি ক্যাসিনো ও জোয়ার আসর। বিলাস বহুল গাড়ি নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নামি দামী লোকদের আসতে দেখা যায় মজনু মালীর জোয়ার মজমায়।এমনটাই জানান নাম না বলতে অচ্ছুক এক প্রতিবেশী। মিনি ক্যাসিনো ও জোয়ার মজমায় অনেক সময় টাকা না থাকলে তাদের সহায় সম্বল, গাড়ি, স্বর্ণের আংটি,চেন ছাড়াও মূল্যবান জিনিস বন্দক রাখার নামে আত্নসাৎ করে। মজনু মালীর এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পেশি শক্তি এবং ক্ষমতার বলে রাজনীতি নেতাদের ছত্র ছায়ায় তিনি হয়ে উঠেন মিনি ক্যাসিনো ও জুয়া সম্রাটের অন্যতম নেতা ।তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, “তার বকচরা এলাকায় তিনটা বিলাসবহুল বাড়ি ও বিদেশী প্রজাতির গরুর খামার,এ ছাড়া ও রয়েছে মৎস ঘের সহ বিভিন্ন বেনামি করা সম্পাদের পাহাড় । তিনি রাতারাতি হয়ে উঠেন কোটিপতি ও জনপ্রতিনিধি।“ক” লখিতে যার কলম ভাঙ্গে তিনটি, প্রাথমিক গোন্ডি পার না করে ,ছাত্রজীবনে কোনো রাজনীতি না করেই তিনি হয়ে ওঠেন ছাত্রনেতা। রাজনৈতিক পরিচয়ে নিজেকে এমন ভাবে উপস্থাপন করেন যেন তিনি প্রকৃত ত্যগী,মেধাবী ও ৮০ ও ৯০ দশকের ছাত্রনেতাদের প্রথম শ্রেণীর নেতা ।প্রধাণমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশব্যাপি মাদক, দূর্নীতি,হুন্ডি ব্যাবসায়ী,মানি লন্ডারিং,জুয়া,ক্যাসিনো ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বেশ কয়েক জন জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ ।সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের মান উন্নায়ন ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির সেবা ও স্থানীয় সরকারের উন্নায়ন মূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে তার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের দেখেই না দেখার ভান করেন এবং তিনি নিজেকে খুব ব্যস্ত দেখান । এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের অনুরোধে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন তিনি।” তার সাক্ষাৎকারের শুরুতেই তিনি রাজনৈতিক বিষয় দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।তার ইউনিয়নের দৃশ্যমান উন্নায়ন সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি সে বিষয়ে সঠিক জবাব না দিয়েই, কৌশলে এড়িয়ে যান, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে সঠিক উত্তর না দিয়েই তিনি সাংবাদিকদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল ভেবে তিনি বলেন আমি কি উন্নায়ন করেছি তা আপনারা আমার এলাকায় যেয়ে তদন্ত করে দেখেন।জননেত্রী প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গ্রাম হবে শহর , প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছাবে বিদ্যুৎতের আলো। এ কথা বলেই তিনি বলেন- নেত্রীর নির্দেশনা মেনেই আমরা কাজ করছি।আপনি থেকে তুমি বলে সাংবাদিকদের সম্মোধন করেন এবং অসৌজন্য মূলক আচরণ করে বলেন -তোমরা ছোট ভাই এখন বড় বড় সাংবাদিক হয়েছো আমাদের কথা গুলো বেশি বেশি প্রচার কর, তাহলেই আমাদের এ উন্নায়ন স্বার্থক হবে ।”
Comments are closed.