October 23, 2024, 9:18 pm
সুন্দরবনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে টিকতে না পেরে অবশেষে চিহ্নিত বনদস্যু বাহিনীর দল এখন ভোল পাল্টে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু ছাগল ও মাদক পাচারে ব্যস্ত। স্থল পথের নানান প্রতিবন্ধকতা এড়াতে সুন্দরবন কে চোরাচালানে নিরাপদ রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে সমাজ বিরোধী দলটি। ইতোমধ্যো ভারত থেকে গরু ও ছাগল পাচারের পরপর কয়েকটি চালান আটক করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। এঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে কিন্তু আইনের ফাঁক ফোকড় গলিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আবারো চোরা চালানের মত জঘন্য অপরাধে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
শ্যামনগর থানা সূত্র মতে, চলতি বছরের ২৬-০৭-২০২০, ০৬-০৭-২০২০ ও ১৮-০৭-২০২০ তারিখে ভারত থেকে চোরাই পথে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে গরু পাচার করার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৫টি গরু আটক করে। সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর পুলিশ আবারও অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে পাচার করার সময় ১৩টি ভারতীয় মারাঠি প্রজাতের ছাগল আটক করে। এসব পাচার কাজে চোরাকারবারীর দলটি বরাবরই সুন্দরবনকে ব্যবহার করে।
কৈখালী কোস্টগার্ড বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তা লে. আতাহার আলী বলেন, সুন্দরবনের নিরাপত্তা রক্ষায় কোস্টগার্ড প্রতিদিন টহল দিয়ে আসছে।
সার্বিক বিষয়ে নীলডুমুর ১৭ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সুন্দরবনের আঠারোবেকী ও কাচিকাটা নামক স্থানে ২টি ভাসমান বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) নির্মাণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের পরিবেশ সমুন্নত রাখতে ও চোরাচালান রোধে বিজিবি টহল অব্যাহত আছে।
Comments are closed.