November 21, 2024, 8:31 am
‘ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৭০ টি সাইক্লোন শেল্টার। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককেও। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য থাকবে কি ভাবে ক্ষয় ক্ষতি কমানো যায়। সকল সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হবে। ট্রলারগুলো রিকুইজেশন করা হবে। তারা মানুষের পরাপার করবে।’ বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির এক প্রস্তুতি সভায়
আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এ কথা বলেন। অনুষ্ঠিত সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজা রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রমাসন) মো. সজিব খান, জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আছাদুজ্জামান বাবু, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল (শুভ্র), সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। শুকনো খাবার ও ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসাথে প্রস্তুত রয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া বিষয়ক কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ আছে তা পরিবর্তন না হলে আপাতত সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে। দূর্যোগ প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।
Comments are closed.