October 22, 2024, 2:00 pm
শিক্ষার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বেকারত্বের হার। বাড়ছে হতাশা। এত ডিগ্রি, পড়াশোনার প্রশংসাপত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে যখন ফলাফল শূন্য হয় তখন সেই যুবক-যুবতীদের কাছে শিক্ষার কোনো মূল্যই থাকে না। আজকাল ঘুষ আর পরিচিত কেউ ছাড়া ভালো কোনো চাকরি পাওয়ার আশা করাই যায় না। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। সব ধরনের মানুষের সেই দাবি পূরণ করা সম্ভব হয় না। যে কারণে দিনদিন বাড়ছে বেকারদের হার। যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে পড়াশোনার সমাপ্তি ঘটায়। সেখানে কত হাজার শিক্ষার্থী নিজেদের যোগ্যতায় মনের মতো চাকরি পায় তা অবশ্যই বড় প্রশ্ন।শুধু চাকরির আশায় ঘুরলে সে বেকারই থেকে যাবে জীবনের অর্ধেকটা সময়। চাকরি কি একমাত্র আয়ের উৎস, বিকল্প কি নেই? আছে, অবশ্যই। এজন্য দরকার সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন। যখন কেউ সরকারি চাকরি বা বিসিএস ক্যাডার হয়ে ভালো পোস্ট অর্জন করে বা ভালো কোম্পানিতে চাকরি করে তখন তাকে বাহ্বা দেওয়া হয়। আর যে চাকরি না পেয়ে বা চাকরি খোঁজার পেছনে নিজের অমূল্য সময় ব্যয় না করে সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়, তখন সমাজ-পরিবার তাকে হেয় করে। বিবাহের ক্ষেত্রে এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠে। অনেকে এটাই বলে থাকেন, এত পড়াশোনা করে শেষে এ কাজ। এভাবেই উপহাস করে। সমাজের এরূপ দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু যুবসমাজকে বেকারে রূপান্তর করেছে। কোনো কাজই ছোট নয়। নিজেরা সবসময়ই কাজকে অর্থের মূল্যে বিচার করি। কী কাজ, তা আদৌ ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা তা যাচাই করার প্রয়োজন করি না। সে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে এটাই আসল।
Comments are closed.