October 31, 2024, 3:12 am
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড কারখানার ৬তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে মোট নিহতের সংখ্যা ৫২। ৮ জুলাই বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের শুরুতেই তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ৪৯ মরদেহ উদ্ধার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। তবে নিখোঁজ স্বজনদের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে ৫১ জনের তালিকা রয়েছে।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড কারখানার ৬তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনার দিনই দুই নারী শ্রমিকসহ তিনজন নিহত হয় ও আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। পরে ১০ জুলাই ৩০ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভায় তারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, শ্রম ও কর্মসংস্থান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত রবিবার থেকে কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করলেও এখনো মেলেনি নিখোঁজ দুই শ্রমিকের।
এ নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনদের।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে ৫১ শ্রমিকের স্বজনই ডিএনএর নমুনা দিয়ে আসেন। স্বজনদের লাশ শনাক্তে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানায় ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট। দুই শ্রমিকের মরদেহ না পাওয়ায় শ্রমিকদের স্বজনদের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
নিখোঁজ শান্তামনির মা সিমু আক্তার জানান, ‘আপনেরা শুধু আমার মাইয়ার লাশটা ফেরত দেন। আমি আর আপনেগো কাছে আর কিছু চাই না। হুনছি দুই জনের লাশ এহনো পাওয়া যায় নাই আমার মাইয়ার লাশ পামু কিনা আল্লাহ জানে’।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্য ও উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আলামত সংগ্রহ করেছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ৪৯ মরদেহ উদ্ধার করি। নতুন করে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। নামের ভুলের কারণে নিখোঁজের তালিকায় একই নাম বারবার আসতে পারে।
Comments are closed.