May 19, 2024, 9:35 pm
সামরিক বাহিনীকে পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে হামলার ১৫ মাসের মাথায় এই নির্দেশ দিলেন তিনি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার “যুদ্ধংদেহী বিবৃতি” এবং ন্যাটো জোটের “অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড” রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানোর কারণ। সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের মহড়া চালানো হচ্ছে। খবর দ্যা মস্কো টাইমসের।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন স্থল, বিমান এবং নৌসেনাকে পরমাণু যুদ্ধের মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির আগেই পুতিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। এর তিন মাসের মধ্যেই পরমাণু যুদ্ধের মহড়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও তার মিত্রদের অব্যাহত ‘শক্তির রাজনীতির’ জবাব দেয়ার জন্য মস্কো এই মহড়া চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের অন্য পৃষ্ঠপোষকরা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছে এবং ইউক্রেন যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাচ্ছে তাতে পশ্চিমারা সরাসরি অবদান রাখছে। এছাড়া, পশ্চিমারা নানা ধরনের শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে যাতে তারা রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে।
গত সপ্তাহে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করার সব ধরনের অধিকার ইউক্রেনের রয়েছে। এছাড়া, আমেরিকা সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মধ্যম পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে যা রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে এ সমস্ত অস্ত্র নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু ২০১৯ সালে আমেরিকা একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.