April 27, 2024, 8:04 am
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আশেকপুরে কনের বাড়িতে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি। কনে পৌর শহরের জোবায়দা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বরের নাম শাহ আলম। তিনি একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাদের উভয়ের বাড়ি টাঙ্গাইল পৌরসভার আশেকপুর গ্রামে।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম বলেন, সকালে জানতে পারি, ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছে। পরে সেখানে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেয়া হয়। কনের বাবা নূরে আলমকে ১০ হাজার এবং বরের বাবা আব্দুল আজিজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
এদিকে, বকশীগঞ্জে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই স্কুলছাত্রী। শুক্রবার রাতে পৌর শহরের টিকরকান্দি ও সদর ইউনিয়নের ঝালরচর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে দুটি বন্ধ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. স্নিগ্ধা পারভীন।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া দুইজন হলো- বকশীগঞ্জ পৌর শহরের টিকরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হকের মেয়ে ও রাহিলা কাদির উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুপা, বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ঝালরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার কিশোরী মেয়ে জায়েদা। সে আইরমারী দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. স্নিগ্ধা দাস জানান, বাল্যবিয়ে একটি অভিশাপ। যেখানেই বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হবে সেখানেই অভিযান চালাবো।
Comments are closed.