April 27, 2024, 11:36 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ, বিজয় দশমীর প্রত্যশা

অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ, বিজয় দশমীর প্রত্যশা

ঢাক-কাঁসরের বাদ্য-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি ও পূজারি-ভক্তদের পূজা-অর্চনায় কেবলই মা দুর্গার বিদায়ের আয়োজন। কারণ আজ মঙ্গলবার শুভ বিজয়া দশমী। গত পাঁচদিন নানা উদযাপন শেষে সব পূজামন্ডপেই এখন বিষাদের ছায়া। সোমবার মহানবমী পালনের পর আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের।’দশমী’ কথাটির সাধারন অর্থ খুবই সহজবোধ্য। হিন্দু পুরাণ অনুসারে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গা স্বামী শিবের আবাস কৈলাস পর্বত ছেড়ে পিতার গৃহে আসেন। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এই তিন দিন পিতার গৃহে থেকে দশমী তিথিতে আবার কৈলাসে প্রত্যাবর্তন করেন। তাই বিষাদাচ্ছন্ন দশমীতেই হয় বিসর্জন। একদিকে, অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ের কারণে যেমন বিজয়া দশমী এক মহোৎসব, তেমনি তা বিসর্জনের বিষাদেও ভারাক্রান্ত। শরৎকালের শুভ্র নীল আকাশ আর কাশফুলের দোলায় আগমনীর ঢাক-শাঁখের আওয়াজ মিলেমিশে গ্রামবাংলায় এক চিরায়ত উৎসবের রূপ নেয় দুর্গাপূজা। এখন গ্রামের গন্ডি ছাড়িয়ে দেশের প্রায় সব শহর-নগরেই মহাআড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। পুজো আসছে, পুজো আসছে করে পুজোর ক’টা দিন পেরিয়ে, আজ হাজির দশমী। আজ মায়ের বিদায়ের দিন। তাই বিষাদের সুর আকাশে বাতাসে। হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরই চোখের জলে, মন কেমন করা বুকের ভিতর এক কষ্ট নিয়ে বিদায় জানাতে হবে মা’কে। অপেক্ষা এক বছরের। আজই মাকে শেষবারের মতো বরণ করে, মিষ্টিমুখে বিদায় জানাবেন মহিলারা। বিষাদের মধ্যেও সামান্য আনন্দ খুঁজে নিতে শুরু হবে সিঁদুর খেলা। এরপর বিকেল থেকেই শুরু হবে প্রতিমা বিসর্জন। মাকে বিদায়ের মুহূর্তে ভাঙা মন নিয়েও পুজোর উদ্যোক্তারা এবং কচিকাঁচার দল নতুন করে অক্সিজেন পেতে তারস্বরে চিৎকার করে বলবে ‘আসছে বছর আবার হবে’। দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ ও মনখারাপ মিশ্রিত একটি মা দুর্গা তার চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাস থেকে পাঁচদিনের জন্য বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন। এই পাঁচদিন বাঙালির দুর্গাপূজা। পুজোর শেষদিন দশমীতে আবার তিনি তার স্বামীগৃহ কৈলাসে ফিরে যান। এই দিনটিকেই বিজয়া দশমী নামে অভিহিত করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে মা পুনরায় কৈলাসে পাড়ি দেন। এই দিনটিকেই বলা হয় দশমী, কিন্তু বিজয়া দশমী কেন, তার নানা পৌরাণিক ব্যাখ্যা আছে। পুরাণ অনুযায়ী দেবীদুর্গা মহিষাসুরের সাথে নয়দিন নয়রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে মহিষাসুরকে হারিয়ে বিজয় লাভ করেছিলেন। তাই নবমীর পরের দিনটি বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। বলা হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবী আসেন, এবং শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর-বধ করেন। বিজয়া দশমী সেই বিজয়কেই চিহ্নিত করে।দশেরা আসলে নবরাত্রির দশমদিন। এইদিন লঙ্কার দশানন রাবণকে হারিয়ে রাম যুদ্ধে জয় লাভ করে সীতাকে উদ্ধার করেছিলেন। তাই এইদিন রাবনের পুতুল পুড়িয়ে দশেরা পালন করা হয়। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘দশহর’ থেকে, যা দশানন রাবণের মৃত্যুকে সূচিত করে। বলা হয় যে, আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতেই রাবণ-বধ করেছিলেন রাম। পুরান অনুযায়ী আবার দশেরার দিন রাবণ বধের পর দুর্গোৎসবের সঙ্গে বাংলার প্রকৃতিরও রয়েছে নিগূঢ় সম্পর্ক। শরতের শুভ্র কাশফুলের মতো মানব হৃদয়েও পুণ্যের শ্বেতশুভ্র পুষ্পরাশি প্রস্ফুটিত হোক। অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে সঞ্চারিত হোক শুভ চেতনা- এটাই হোক বিজয়া দশমীর প্রত্যাশা। ‘ওঁ দেবি ত্বং জগতাং মাতঃ স্বস্থানং গচ্ছ পূজিতে। সংবত্সর ব্যতিতে তু পুনরাগমনায় চঃ ॥’ অর্থাৎ, হে দেবী, জগজ্জননী, পূজিতা হয়ে তুমি নিজ স্থানে গমন কর এবং এক বছর পরে আবার তুমি অবশ্য আসবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com