April 27, 2024, 10:06 am
যশোর জেলার মনিরামপুরের কোদলাপাড়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান। এবার দেড় বিঘা জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছেন। ধানে পাক ধরেছে তাঁর ক্ষেতে। ফলন ভাল হওয়ায় খুশি তিনি। মিজানুর বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলব। বিঘায় খরচ হয়েছে ৭-৮ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ১৫-১৬ মন ধান পাব বলে আশা। বাজারে ধানের মণ ১ হাজার টাকা করে। খরচের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ হবে। ৩০ শতক জমিতে আউশ চাষ করেছেন মোবারকপুর গ্রামের চাষি সুনীল ঘোষ। তিনি কাঠায় মণ মণ ধান পাবেন বলে আশা করছেন। মাহমুদকাটি গ্রামের ইকবাল হোসেন দশ কাঠা জমির আউশ ধান কেটে বাজারে বিক্রি করেছেন। ভাল দাম পেয়ে খুশি তিনি। সরেজমিন উপজেলার মাহমুদকাটি, রঘুনাথপুর, জালালপুর, গরিবপুর, চাঁদপুর, হেলাঞ্চি, হানুয়ার, খেদাপাড়া, মোবারকপুর, চালুয়াহাটি, মদনপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মাঠে সোনালী আউশ দুলতে দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় তিন হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। আমরা এক হাজার ৫০০ কৃষককে আউশের প্রণোদনা দিয়েছি।
বোরোতে ধানের বাজার ভাল যাওয়ায় এবার পাট বাদ দিয়ে অনেক কৃষক আউশ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। বৃষ্টিপাত তেমন না থাকায় কৃষক ভালভাবে ধান বাড়ি তুলতে পারছেন। টেংরামারী বাজারের আড়ৎদার ফয়েজ উদ্দিন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার আউশের দাম ভাল। ৯৭০-১০০০ টাকায় ধান কিনছি। মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসান বলেন, ইতিমধ্যে কৃষক আউশ ধান কাটা শুরু করেছেন। ফলন বেশ ভাল। বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন। আউশ ধান সাধারণত জম্নে বর্ষাকালের আষাঢ় মাসে।এই কারনে এর আরেক নাম আষাঢ়ী ধান। তবে এই ধান বছরের যে কোন সময়েই চাষ করা হয়।
Comments are closed.