April 27, 2024, 9:51 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
আজ ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস

আজ ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস

 আজ ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস। কপিলমুনিবাসীর কাছে ঐতিহাসিক দিন এটি। অনেক আগে থেকে এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় বাংলাদেশের সব স্থানের চেয়ে এখানে নিরীহদের উপর নির্যাতনের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। ১৯৭১ সালের এই দিনে কপিলমুনির মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা দেশের অন্যতম এ রাজাকার ঘাঁটিতে আঘাত এনে এলাকাটি শত্রুমুক্ত করে।তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, আধুনিক কপিলমুনির রুপকার স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর সুরম্য অট্টালিকা তুল্য ২তলা বাড়ীটি পাকবাহিনী আর তাদের দোসররা দখল করে দূর্ভেদ্য ঘাঁটি তৈরী করে। এই বাড়ীর একটি কক্ষে এলাকার সুন্দরী যুবতীদের ধর্ষণ করতো তারা, একটি কক্ষে গৃহপালিত পশু ধরে এনে রেখে রান্না করা হতো, অন্য একটি কক্ষে তারা রাত্রী যাপন করতো। ঐ ভবন থেকেই তারা অত্রালাকায় যুদ্ধ ও শোষণ করার নীল নকশা আঁকতো।১৯৭১ সালের ২১ জুলাই এম এ গফুর ও শামছুল আরেফিন (লে.) এর নেতৃত্বে ১৮০ জনের মুক্তি বাহিনী কপিলমুনির রাজাকার ঘাঁটিতে হানা দেয়, যুদ্ধ চলে একটানা ২৪ ঘন্টা। এলাকাবাসীর অসহযোগীতার কারণে এ আক্রমণে সফলতা আসেনি, সম্ভব হয়নি সেদিন পাকীদের পরাস্ত করা। এরপর ২য় দফায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় মুক্তিযোদ্ধারা।৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১মিনিটে ১২টি ক্যাম্পের প্রায় ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার অংশগ্রহণে যুদ্ধ শুরু হয়। চারিদিক নিস্তব্দতা, মৃত্যু ভয়ে আতংকিত মানুষ ঘর ছেড়ে বনজঙ্গলে ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। কোলাহলমুক্ত ভূতুড়ে পরিবেশ গোটা কপিলমুনিতে। শুরু হয় রাজাকার ঘাঁটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের শাড়াশি আক্রমণ। কপিলমুনির পার্শ¦বর্তী প্রতাপকাটি কাঠের পুলের উপর মুক্তিবাহিনীকে রাজাকাররা চ্যালেঞ্জ করতেই মুক্তিবাহিনীর মেশিনগান গর্জে ওঠে। সেখানে ৮জন রাজাকার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এরপর মুক্তিবাহিনী কপিলমুনির নাথপাড়ায় ডিউটিরত পাকবাহিনীর অসংখ্য সদস্যকে গুলি করে মারতে সক্ষম হয়। কপোতাক্ষ নদীর ওপার অর্থাৎ সাতক্ষীরার কানাইদিয়া থেকে আরসিএলের আওয়াজ গোটা এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে। চতুর্দিক থেকে শাড়াশি আক্রমণ শুরু করে মুক্তি বাহিনী। দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পর আনোয়ার হোসেন মাথায় গুলি বিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। এসময়  তোরাব আলীর পেটে গুলি লেগে আহত হন। ৭ ও ৮ তারিখ বিরতীহীনভাবে যুদ্ধ চলে, ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। এরপর ১৫৫জন রাজাকার মুক্তি বাহিনীর কাছে আত্মসমার্পন করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী পুরুষ কপিলমুনিতে জড়ো হয়। এরপর কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের মাঠে জনতার আদালতের রায়ে ৭জন দুর্ধর্ষ রাজাকারকে ভয়ংকর শাস্তি দিয়ে মরা হয় এবং বাকিদের প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হয়।এদিকে আজকের এ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে কপিলমুনি আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আয়োজন করেছে নানান অনুষ্ঠানের। আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সমিতি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় বিজয় র‌্যালি, সাড়ে ৯টায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com