April 26, 2024, 1:40 pm
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে পশু চিকিৎসকসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে মারপিট, ভাংচুর, লুটপাট, শ্লীলতাহানি ও দোকানে অবরুদ্ধ করে রাখা ঘটনার মামলার আসামী ও তাকের লোকজনের রোষানলে পড়ে বাদী পক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীন সরদারের ছেলে পশু চিকিৎসক আনিছুর রহমান বাদী হয়ে থানায় দায়েরকৃত মামলা (নং ১৭ তাং-১৮/৪/২২) মামলা সূত্রে ও বাদী জানান, একই গ্রামের উকিল উদ্দীন সরদারের ছেলে রাকিবুল হাসান পলাশ, নজর উদ্দীন সরদারের ছেলে মশিউর, মৃত ফিরোজ আহমেদের ছেলে শোয়েবসহ আঃ বারী, গোলাম রব্বী, আমান, জলিলদের সাথে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে শত্রুতার সৃষ্টি করে তারা দীর্ঘদিন হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। ১৩ আগষ্ট তারা ডাক্তারের ছেলে শিহাবুর রহমানকে মারপিট করে।
১৪ আগষ্ট ডাক্তার বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে বের হয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি যাওয়ার পথে আসামীরা লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। তার স্ত্রী আফরোজা বুলবুল ঠেকাতে গেলে মারপিট, কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে বেআব্রু করতঃ শ্লীলতা হানি ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। স্বাক্ষীরা এগিয়ে গেলে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে বসতবাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে। ইউপি চেয়ারম্যান জানতে পেরে গ্রাম পুলিশ মফিজুলকে পাঠালে তার সহায়তায় স্বাক্ষীরা আহত আনছিুরকে উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। স্ত্রী ও পুত্র স্থানীয় চিকিৎসা দেয়া হয়।
কতক আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে এবং ২নং আসামীর পিতা নজর উদ্দিন বাদীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী ও বাদীর ছেলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার আস্ফালন করে যাচ্ছে। ফলে বাদী পক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
Comments are closed.