April 27, 2024, 12:15 pm
বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে হামলা এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর অচল হয়ে পড়েছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল। কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জেলার দুই বাস টার্মিনাল থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল। হঠাৎ লঞ্চ ও বাস বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ ও রুপাতলীতে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা।
বরিশালের দুই বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও রূপাতলীতে সড়কের ওপর বাস রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলাসহ পায়রাবন্দর এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গেও ঢাকাসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সকালে বরিশাল নৌ বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রূপাতলী জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস জানান, বুধবার রাতে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবৈধ ব্যানার উচ্ছেদে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মীরা। ইউএনওর উপস্থিতিতে তাদের ওপর গুলি চালান আনসার সদস্যরা। খবর পেয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সেখানে গেলে তাকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়, তবে গুলি তার গায়ে লাগেনি।
ওই ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, কর্মকর্তা, বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাই ইউএনওর বিচারের দাবিতে বরিশাল থেকে বাস, লঞ্চ ও মাহিন্দ্রা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, ফেস্টুন উচ্ছেদ অভিযান চালান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। এ কাজ করতে করতে ইউএনওর বাসভবন এলাকায় গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার কর্মীরা তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান।
এ নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়, তখন এ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গেও তাদের বাদানুবাদ হয়। ইউএনও দাবি করেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে নিরাপত্তার খাতিরে গুলিবর্ষণ করেন আনসার সদস্যরা। এ ঘটনায় পুলিশ, আনসার, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ২২ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Comments are closed.