April 27, 2024, 6:23 am
ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান স্ত্রী শামীমা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাসেলের মোহাম্মদপুরের বাসায় র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অর্থ পরিশোধের পর সময় পার হলেও ক্রেতাদেরকে প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ করছে না বলে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বহু মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিাবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এর আগে দুপুররের আগেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি নেয় গুলশান থানা পুলিশ।গুলশান থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল রাতে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে কয়েকজন ভুক্তভোগী ধানমন্ডি থানায় মামলা করতে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওেয়া হয়।
তখন পুলিশ জানায়, ইভ্যালির অফিস ধানমন্ডিতে। মামলার বিষয়টি তারাই বিবেচনা করবে। এ কারণে তাদের ধানমন্ডি থানায় যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রাত দেড়টার দিকে তারা গুলশান থানা ত্যাগ করেন। বুধবার রাতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে তিন ভুক্তভোগী গুলশান থানায় আসেন। তাদের মধ্যে একজন ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, একজন ৯ লাখ টাকা ও অপরজন ৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ে তা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
আরিফ বাকের নামের এক ভুক্তভোগী সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমি গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেছিলাম। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাইনি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে। আমার মতো অনেকের একই অবস্থা। তাই আমি থানায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করতে এসেছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে মামলা হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
Comments are closed.