April 27, 2024, 7:54 am
ঈদের আগেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন পুড়ছে গরিব মধ্যবিত্তের কপালে দূ চিন্তার ভাজ। বাজারে নেই কোন মনিটারিং। বুধবার ৫ এপ্রিল সকালে তালা উপশহরে চিত্র টা ছিলো এক দম উল্টো ঘন্টার ব্যাবধানে বেড়েই চলেছে সকল নিত্যপণ্যের দাম। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কৃষি নির্ভর জেলার তালা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার উত্তাপ। রমজানকে ঘিরে পুরনো রীতিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা নড়েচড়ে বসেছেন। অর্থলোভী অসাধুদের মতলবে নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি। প্রতিদিন দুর্দান্ত গতিবেগ বেড়েই চলেছে খাদ্যপন্যের দাম। দাম বৃদ্ধির কারনে মধ্য ও নিম্ম-মধ্য বিত্ত মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। দামের চোটে অস্থির ক্রেতারা। রমজান ও আগত ঈদে তাঁদের কপালে দুঃচিন্তার ভাজ। চোখে-মুখে যেন অন্ধকার।গরু খাসি ও দুরের কথা সবশেষ ব্রয়লার মুরগিও ক্রেতাদের নাগালের অনেক বাহিরে।সব ধরনের সবজির দামই ১৫ দিনের তুলনায় দুই গুণ বেড়েছে । রমজানে আগে বেগুন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল, সেই বেগুন এখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। দুইদিন আগে খুচরা বাজারে দেশি পিয়াজ কেজিতে ২০টাকা থাকলে এখন-৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সকালে তালা উপশহরের সদরে খুচরা বাজারগুলোতে ঢেঁড়স কেজিতে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এসব সবজির মধ্যে বেশির ভাগ সবজিই রমজানের আগে মান ও প্রকারভেদে কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা কমে পাওয়া গেছে। এই ঈদের জন্য ভবিষ্যত ভাবনায়- একটু একটু করে জমানো অর্থেও হাত পড়েছে মধ্য-নিম্মবিত্তের মানুষের। টানাটানির সংসারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ধার-দেনা। ইচ্ছে এবং পরিবারের আবদার থাকলেও পাতে উঠছে না মাছ, মাংস সহ সুস্বাধু খাবার। প্রায় সবারই কাটছাঁট হচ্ছে বাজার তালিকা। খরচ বাঁচাতে কম দামি পণ্যে ক্রেতারা নজর দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জীবনযাত্রা ব্যয়ের সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে কষ্ট। এছাড়াও আছে নানা ঝক্কি-ঝামেলাও ।এই অবস্থায় বাজার নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে আকুতি সবার। কিন্তু কে করবেন সার্বক্ষণিক বাজার-দর তদারকি? আমরা লোক-দেখানো বা নিয়ম রক্ষার অভিযান নয়, কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা রাখছি। এতে কিছুটা হলেও জনমনে স্বস্তি ফিরবে।
Comments are closed.