April 27, 2024, 5:37 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
উপকূল অঞ্চলে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি ঝুঁকিপূর্ণ ১২ টি স্থানে কাজের প্রস্তুতি

উপকূল অঞ্চলে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি ঝুঁকিপূর্ণ ১২ টি স্থানে কাজের প্রস্তুতি

শ্যামনগর উপকূল অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্ক সংকেতে উপকূলের নদীগুলো উত্তল হয়ে পড়েছে। নদীর অধিক জোয়ারের পানির কারনে এলকার বেড়িবাঁধগুলো ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করে। যদিও পর্যপ্ত পরিমাণ পানি প্রবেশ না করলেও বিশেষজ্ঞদের ধারনা আজ সোমবার ১২ টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেতে পারে৷ এরমধ্যে যদি পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, তবে অধিক জোয়ারের প্লাবিত হতে পারে লোকালয়। নি¤œ চাপের কারণেই এই বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে নদীর প্রবল জোয়ার। পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় এ নিয়ে চিন্তায় আছে উপকূলের মানুষ। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয় এ এলাকার মানুষের কিন্তু আন্দোলন আর ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোন ফল পায়নি। নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে প্রতি বছর নষ্ট হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এ সম্পদ পোষায়ে উঠির পরও একুই অবস্থার শিকার হয়ে থাকে এলাকার মানুষ। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকুল এলাকার মানুষ সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারণে তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে নি:স্ব হয়ে যায়। প্রতিবছর একএক সময় একএক রকম দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয় উপকূলের মানুষদের। কখনো ঝড়, আবার কখনো নদীর বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন, কখনো বন্যায় প্লাবিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি সব চেয়ে বড় দুর্যোগ বলে মনে করেন নদী ভাঙ্গন। এ নদী ভাঙ্গন যেন উপকূলের মানুষের পিছু ছাড়ছে না।
তবে নদী ভাঙ্গনকে সরকারি অবস্থাপনাকে দ্বায়ী করেন উপকূলের মানুষ। গত বছর আম্পান ঝড়ের পরে উপকূলের মানুষের যে পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়, সে গুলো কাটিয়ে উঠতে পারিনি এ অঞ্চলের মানুষ। উপকূলের মানুষের এ ধারনের দুর্যোগ থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় হল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা। ইয়াসের পরে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে কাজ করলেও শুভংকরের ফাঁকি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারা কিন্তু ইয়াসের পরে উপকূলের ১৪৯ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধের ৩১ টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার হলেও ১২ টি স্থান এখনো ঝুকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ, বুড়িগোয়ালীনি, গাবুরায়, পদ্মপকুর, কাশিমাড়ী ও আটুলিয়ায় বর্তমান ঝুঁকিপূণ এলাকা। স্থানীয়রা জানান, নদীর জোয়ারের সাথে সাথে যদি অতিবৃষ্টি হতো তবে উপকূল অঞ্চল পুনরায় প্লাবিত হতো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে বাতাসের ঢেউয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে দুই এক জায়গায় পানি প্রবেশ করলেও বাঁধ ভাঙ্গনের কোন সংবাদ শোনা যায়নি। তবে ১২ টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, আমরা সংস্কারের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com