April 27, 2024, 6:24 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
এক ঘণ্টার ব্যবধানে চট্টগ্রাম কারাগারে ২ হাজতির মৃত্যু

এক ঘণ্টার ব্যবধানে চট্টগ্রাম কারাগারে ২ হাজতির মৃত্যু

কেন্দ্রীয় কারাগারে রফিক উদ্দিন ও বাবুল মিয়া নামে দুই বন্দী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ৪৫ বছর বয়সি রফিক উদ্দিনের বাড়ি চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নে। আর ৪০ বছর বয়সি বাবুল মিয়া ছিলেন হাছনদণ্ডীর বাসিন্দা। রফিক মারামারি এবং বাবুল মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম জানান, রফিক ও বাবুল ২ জনই চন্দনাইশ থানার আলাদা দুটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্যে রফিক গত ২৭ মার্চ (বুধবার) এবং বাবুল গত বছরের ১৮ নভেম্বর কারাগারে আসেন।

সোমবার ভোরে ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তারা মারা যায়। জেলার তারিকুল বলেন, বাবুল রোজা রাখার জন্য সেহেরি খেয়েছিল। বিছানায় যাওয়ার পর বুকে ব্যথা অনুভব করার কথা জানান। আর রফিক অসুস্থতা অনুভব করায় তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়।

এদিকে রফিকের পরিবারের দাবি, গত ২৬ মার্চ (শনিবার) তার ওপর হামলা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার মামলা না নিয়ে উলটো তাকে আসামি করে কারাগারে পাঠায়।

রফিকের বড় ভাই জামাল উদ্দিন বলেন, ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চিড়িংঘাটা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন রফিক। গত ২৬ মার্চ (শনিবার) সকালে তাদের চাচীর জানাজা শেষে ফেরার পথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে রফিকের ওপর হামলা হয়।

স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিকালে রফিক থানায় মামলা করতে যায়। কিন্তু পুলিশ তার মামলা না নিয়ে, অপর পক্ষের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ওই রাতে থানা হাজতে রাখার পর পরদিন কারাগারে পাঠানো হয়।

জামালের অভিযোগ, হামলায় আহত তার ভাইয়ের চিকিৎসা না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ‘আরও বেশি অসুস্থ হয়ে’ রফিকের মৃত্যু হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, রফিকের মামলাও নেয়া হয়েছে। দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছিল। অপর পক্ষের মামলায় তিনি আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমও অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রফিকের বাড়ি ও তার বাড়ি একই ওয়ার্ডে। আমাদের এক চাচি মারা যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ (শনিবার) আমি জানাজায় গিয়েছিলাম। স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেয়ার জন্য জানাজা শেষে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদে চলে যাই। সেখানে গিয়ে শুনেছি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই, পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঝামেলা শেষে দুই পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। তাদের মামলা করার পরামর্ম দিয়েছিলাম। তারা উভয়েই মামলা করেছে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আরও বলেন, রফিক হামলায় আহত হয়েছিলেন কি না সেটা আমাদের জানা নেই। ২ জনেরই ময়নাতদন্ত হবে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com