April 26, 2024, 1:36 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
কলারোয়ায় সেতুর রেলিং ভাঙলেও শুরু হচ্ছে না সেতুর কাজ

কলারোয়ায় সেতুর রেলিং ভাঙলেও শুরু হচ্ছে না সেতুর কাজ

গত কয়েক মাস ঝুঁকি নিয়ে পুরোনো সেতুর ওপর দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন। স্থানীয় জনসাধারন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে প্রতিনিয়ত। সেতুর রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গত কয়েকদিন আগে কলারোয়া পৌর সদরের বাজার এলাকায় সেতুর রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। বেইলি সেতু নির্মাণ করা হলেও সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। জানা যায়, কলারোয়া পৌর সদরের বাজার এলাকায় বেত্রাবতী নদীর ওপর সেতুটি অবস্থিত। কলারোয়া পৌনসভার ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। নদীর পূর্ব পাশে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ যশোর জেলার বৃহৎ একটি অংশ ও পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। পশ্চিম পাশে ছয়টি ইউনিয়ন, উপজেলা সদর ও পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ড ও জেলা সদরে যাওয়ার রাস্তা।

নদীর দুই পাশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে কলারোয়া বাজার এলাকার সেতুটি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এবং পৌর সদর এলাকায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হওয়ার কারনে কলারোয়া বাজার এলাকায় বেত্রাবতী নদীর ওপরের সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কাজটি পায় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কলারোয়া উপজেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. কাজী আবদুল্লাহ-আল-হাবীব বলেন, সেতুর নির্মাণ কবে শুরু হবে, তার কোনো ঠিক নেই। অথচ গত এপ্রিলে সেতুর এক পাশের সম্পূর্ণ এবং অন্যপাশের কিছুটা রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ভাঙা রেলিং এর এ সেতু দিয়ে মানুষ ও গাড়ি যাতায়াত করছে ঝুঁকি নিয়ে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বেত্রাবতী নদীর পশ্চিম পাশের ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডসহ কেশবপুর, মনিরামপুর ও তালা উপজেলার প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ কলারোয়া উপজেলা সদরের বাজার এলাকার ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতিদিন রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য গাড়ি চলাচল করে। জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে হাজারো মানুষ ও শিক্ষার্থী সেতু পার হন। কয়েক মাস ধরে নদীর ওপর সেতুর রেলিং ভেঙে রাখা হয়েছে। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারন বলেন, বেইলি সেতুর দুই পাশে কিছু মালিকানাধীন দোকান থাকায় সেতুটির কাজ শুরু কার সম্ভব হয়নি। সেতু নির্মাণের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এ কারণে সেতুর কাজ এগোচ্ছে না। সওজের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল নদীর দুই পাশের ১ একর ৭৬ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছিল, ওই সেতুর পাশ দিয়ে সাময়িকভাবে চলাচল করার জন্য বেইলি সেতু নির্মান করার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে। সেটি করার পর রেলিং এর কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কারনে সেতু নির্মানের কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ন কবির বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে সওজের নিকট জমি হস্তান্তর করতে পারবেন।
ছবি আছে,,,,,


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com