April 27, 2024, 6:28 am
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহ’ত্যার শুনানির একপর্যায়ে গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু বলেছেন, কেবল মিয়ানমারই নয়, বিশ্বমানবতাই আজ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিবেকের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠ জোরালো করতে হবে।২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হ’ত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতাকে ‘গণহ’ত্যা’ আখ্যা দিয়ে গত ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া।সেই মামলায় ১০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বিচারকাজ চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।গাম্বিয়ার পক্ষে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করা অ্যাটর্নি জেনারেল তামবাদু আন্তর্জাতিক গণহ’ত্যা প্রশ্নে বিশ্বজুড়েই নন্দিত আইনজীবী। এর আগে তিনি রুয়ান্ডায় গণহ’ত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরের বিশেষ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি আদালতে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে সারা বিশ্বের বিবেককে জাগ্রত করতে চাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠ জোরালে করতে চাই।’তামবাদু বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে আরেকটি গণহ’ত্যার ঘটনা ঘটছে আর আমরা এটি বন্ধে কিছুই করছি না। এটি আমাদের সম্মিলিত বিবেকের জন্য কলঙ্ক। এটি শুধু মিয়ানমারের বিচার নয়, আমাদের সম্মিলিত মানবতা আজ বিচারের কাঠগড়ায়’মঙ্গলবার শুনানিতে বক্তব্য রাখার সময় গাম্বিয়ার নিযুক্ত একজন কৌঁসুলি অ্যান্ড্রু লোয়েনস্টিন রাখাইনের মংডু শহরে বেশ কয়েকটি খু’নের বিবরণ পেশ করেন। এদিন শুনানির শুরুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো উপস্থাপনের পর গাম্বিয়ার আইনজীবীরা মিয়ানমারে এখনও থাকা ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে গণহ’ত্যা থেকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজানের সুর বেজে উঠল সুইডেনের গির্জায়
জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মের অনুসারীদের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সে গির্জায়। এ অনুষ্ঠানে গির্জার ভিতরে মুসলিমদের সম্মান জানাতে আজানের সুমধুর ধ্বনী বেজে উঠেছিলো।
সুইডেনের পাজালা শহরের কুরপিলুম্বুলাম গির্জায় “ইউরোপীয় নাইট ফেস্টিভাল” শিরোনামে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়।
এই অনুষ্ঠানের এক প্রান্তে ‘মানবতার জন্য প্রার্থনা’ করার জন্য আজান দেয়া হয়। ইউরোপীয় নাইট ফেস্টিভাল অনুষ্ঠানটি ২০০৫ সালে ডেনমার্কে প্রকাশিত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরকে নিয়ে অপমানজনক ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পর মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।
চার্চের পরিচালক যাজক আকে নর্ডলুন্ডের বলেছে, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং এর মূল উদ্দেশ্য ধর্ম নির্বিশেষে শান্তির জন্য সাধারণ আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা।
তিনি বলেন হয়ত কেউ কেউ এটিকে বিতর্কিত বলে ধারণা করতে পারে। তবে আমরা এর মূল্যায়ন করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই অনুষ্ঠানটি চার্চে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
Comments are closed.